পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૨૮૧ ] এইরূপে দিন কাটিয়া যায়। সংসার পরীক্ষার স্থল, সেইজন্ত সমভাবে দিন কাটিয়া যায় না। দুর্ভাগ্যক্রমে এই ব্রাহ্মণকন্যার রূপলাবণ্যের কথা কোন ধনীর পুত্রের কর্ণগোচর হইল। এই যুবক সৰ্ব্বপ্রথমে দুতী পাঠাইয়া প্রলোভন দেখাইল, সতী সে কথায় কর্ণপাত করিল না । যুবক পরদিন নানাপ্রকার স্বর্ণালঙ্কার পাঠাইয়া দিল, তিনি সেদিকে দৃষ্টিপাতও করিলেন না। পরদিবস হীরকের অলঙ্কার পাঠাইয়। দিল, তেজস্বিনী বামপদের দ্বারা তাহা ফেলিয়া দিয়া দূতীকে কহিলেন, “বাছা! দীনহীন পতিবিহীন। আমার প্রতি তোমার বাবুর এত অত্যাচার কেন ? আমি আমার প্রেমময়ের ছবি হৃদয়ে দেখিতেছি, কেমন করিয়া তাহাকে সরাইয়া তোমার বাবুকে তথায় উপবেশন করাইব । পতিই আমাদের সর্বস্ব । আমি পতির সেবিকা, তাহার ক্রীতদাসী । এ দেহ তাহার, আমি আমার নহি ; তোমার বাবুকে বলিবে আমি তাহার কন্যা, আমি তাহার ভগ্নী, আমি তাহার জননী ।” দুতিযুখে যুবক এই কথা শ্রবণ পূর্বক তোষামোদকারীদিগকে আজ্ঞা দিলেন যে, “দরিদ্র কন্যার এতদূর স্পৰ্দ্ধা ! অথবা তাহার দূরদৃষ্ট বলিতে হইবে। যাহা হউক, তোমরা কি কেহ দুষ্টার দর্পচর্ণ করিতে পারিবে না ?” সকলে আস্ফালন করিয়া কহিল, “মহাশয়! আপনার অন্নে প্রতিপালিত, আমরা না পারি কি ? অনুমতি করুন, সেই দুষ্টার কেশীকর্ষণ পূৰ্ব্বক এই মুহূৰ্ত্তে আনিয়া উপস্থিত করি।” যুবক হৃষ্টমনে কহিল যে, “যদি তোমরা তাহাকে আমার নিকট আনিয়া দিতে পার, তাহা হইলে তোমাদের প্রত্যেককে পাচ হাজার টাকা পারিতোষিক দিব ।” পাবও প্রতিপালক যুবকের কথা শ্রবণমাত্রে পাষণ্ডগণ র্তাহার বাটীর নিকট যাইয়া দেখিল যে, ব্রাহ্মণ ভিক্ষার্থ বাহির হইয়া যাইল। অদৃষ্টগুণে সেদিন তাহার তনয় নিতান্ত অসুস্থা ছিলেন, তজ্জন্য ব্রাহ্মণের পশ্চাৎ 晕 ➢ ፃ