পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૨(t ] আসিয়া দ্বারবদ্ধ করিতে পারেন নাই। পাষণ্ডেরা বাটীতে প্রবেশ করিবামাত্র ব্রাহ্মণতনয়ার সাক্ষাৎ পাইল । নিরুপায় আত্মজনবিহীন৷ ভয়ে বাবা ! বাবা ! বলিয়া চীৎকার করিলেন, কিন্তু তাহ বৃথা হইয়। গেল। পাষণ্ডের র্তাহাকে বলপূর্বক গাড়ীর ভিতরে পূরিয়া যুবকের উদ্যানে লইয়া গেল । যুবক ইতিপূর্বেই তথায় পৌছিয়াছিলেন। তিনি আর্সির নিকট ঘন ঘন যাইয়া আপনার বদন কাস্তি সন্দর্শন করিতেছিলেন । আপনার রূপে আপনি গৰ্ব্বিত হইয়া মনে মনে চিন্তা করিতেছিলেন যে, আমার কৃপা পাইবার জন্য কত স্ত্রীলোক মা কালীর পূজা মানিয়া থাকে, আর এই ব্রাহ্মণকন্যা আমার রূপ দেখিয়া ভুলিয়া যাইবে না ? সে আমায় দেখে নাই বলিয়া আমার অনুরাগিনী হয় নাই। এমন সময় গাড়ী যাইয়া উপস্থিত হইল। যুবকের আনন্দ উথলিয়া উঠিল । যুবক কহিল, *পিঞ্জরাবদ্ধ বিহঙ্গিনীকে মুক্ত করিয়া দাও, প্রেমোদ্যানে উড়িয়া বেড়াগ ।” গাড়ীর দ্বারোদঘাটন করিবামাত্র তেজস্বিনী কহিল, “তুমি আমার পিতা, তুমি আমার পুত্র, আমায় রক্ষা কর। আমি ব্রাহ্মণকন্যা, আমার প্রতি অত্যাচার করিও না । আমি ভগবানের কাছে তোমার কল্যাণ প্রার্থনা করিতেছি, তুমি অঙ্গরীর ন্যায় কত রমণী পাইবে । তাহারা তোমায় পাইয়া কৃতাৰ্থ হইবে । অনুমতি কর, আমায় রাখিয়া আসুক।” পাষণ্ডদিগকে ইঙ্গিত করিয়া যুবক গৃহবিশেষে চলিয়া গেল । পাষণ্ডের বলপূৰ্ব্বক তাহাকে গাড়ী হইতে সেই গৃহে প্রবেশ করাইয়। বাহির হইতে দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিল । ব্রাহ্মণ কন্যা গলবস্ত্রে কৃতাঞ্জলিপুটে কহিতে লাগিলেন, “মহাশয়! আমরা আপনাদের আশ্রিতা, আপনার আমাদের প্রতিপালক । আমার প্রতি অত্যাচার করিবেন না, আমি আজ সাতদিন জর ভোগ করিতেছি । পিতার অর্থ নাই,