পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ રd: ] সামর্থ নাই যে চিকিৎসা করাইবেন । তিনি বলিয়া দিয়াছেন যে, নারায়ণের চরণামৃতই মহৌষধ। আমি তাহাই সেবন করিয়া অদ্য কিঞ্চিৎ সুস্থ আছি । নিতান্ত দুৰ্ব্বল, উঠিলে মাথা ঘুরিয়া উঠে। আমার অতিশয় ক্লেশ হইতেছে, তোমার পায়ে ধরি আমায় পাঠাইয়া দাও।” যুবক আপনার অদৃষ্টকে ধন্যবাদ দিয়া কহিল, ‘ভালই হইয়াছে, বলপ্রয়োগ ব্যতীত কাৰ্য্য সিদ্ধি হইবে না।” সেই পামর বাহুপ্রসারণ পূৰ্ব্বক প্রিয়ে সম্বোধন করিয়া আলিঙ্গন করিতে যাইবামাত্র তিনি সুস্বপ্তেথিত সিংহিনীর ন্যায় চীৎকার করিয়া কহিলেন, “কি ! তোর এত বড় স্পৰ্দ্ধা ! ব্রাহ্মণ কন্যায় আকিঞ্চন ! কুলবালার ধৰ্ম্মনষ্ট করিতে প্রয়াস ! এখনও বলিতেছি সাবধান হও।” যুবক কহিল, দেখ কেন ক্লেশে দিনযাপন করিবে ? আমি তোমায় ইন্দ্রাণী করিব । তোমার সেবার জন্য দাস দাসী রাখাইয়। দিব, তোমার পিতাকে আর ভিক্ষা করিতে হইবে না । এই নাও লক্ষ টাকার কাগজ লিখিয়া দিতেছি।” ধৰ্ম্মপরায়ণ৷ ব্ৰাহ্মণ কন্যা কহিলেন, “বাছা ! এই কি তোমাদের শিক্ষা হইয়াছে ? সন্ত্রান্ত লোকের পুল তুমি, তুমি নিজেও পণ্ডিত বলিয়া শুনিতে পাই, একথা কি অদ্যাপি শিক্ষা কর নাই যে,সতীত্ব রত্বের মূল্য কি লক্ষ টাকা ? সতীত্ব ধৰ্ম্মের পরাক্রমে সাবিত্ৰী সতী শমনরাজকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া মৃতস্বামীর জীবন দান করিয়াছিলেন। সতীত্ব রত্ন অমূল্য ; বালক তুমি, তাই অর্থের দ্বারা সতীত্বরত্ন ক্রয় করিতে আসিয়াছ। যদ্যপি কল্যাণ প্রত্যাশা থাকে, তাহা হইলে আমায় পাঠাইয়া দাও।” যুবক বিদ্রুপ করিয়া কহিল, “সাবিত্ৰী ! তোমার পতিভক্তির গুণে আমি পুনরায় আসিয়াছি, আমায় আলিঙ্গন কর।” ব্রাহ্মণকন্যা কর্ণে অঙ্গুলি প্রবিষ্ট করিয়া উৰ্দ্ধ দৃষ্টিতে কহিতে লাগিলেন, “কোথায় ধৰ্ম্ম ! কোথায় ভগবান! কোথায় লজ্জানিবারণ শ্ৰীহরি ! কোথায় জগৎপতি ! এই