পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৭৩ ] . আমার একটী ধারণ হয়, সেই ধারণার ফলকে বিশ্বাস কহে। অর্থাৎ উহ! গাছ বলিয়। আমার বিশ্বাস, উহা পশু পক্ষী কিম্বা পাহাড় পৰ্ব্বত নহে । অতএব বিশ্বাস বলিলে প্রত্যক্ষ বিষয়ের ধারণাকেই নির্দেশ করিতে হয় । বিশ্বাস দ্বিবিধ,—প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ । নিজের ইঞ্জিয়াদির দ্বারা যে বস্তুর উপলব্ধি হয়, তাহাকে প্রত্যক্ষ বিশ্বাস কহে । প্রত্যক্ষ বিশ্বাসীর প্রমুখাৎ বিশ্বাসকাহিনী শ্রবণ করিয়৷ যে বিশ্বাস জন্মায়, তাহাকে পরোক্ষ বিশ্বাস বলা যায় । এই পরোক্ষ বিশ্বাসকে অনেকে অন্ধ বিশ্বাস কহিয়া থাকেন । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহাকে অন্ধ বিশ্বাস বলা যায় না । অপ্রাকৃত বিষয়ে প্রকৃত জ্ঞান হওয়া অন্ধ বিশ্বাসের কার্য্য । সাক্ষাৎ সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ বিষয়ের পার্থক্যত দৃষ্ট হইলেও প্রকৃতপক্ষে বিশেষ ক্ষতিবৃদ্ধির হেতু নাই । কোন ব্যক্তিকে অহিফেন সেবনে পঞ্চত্র প্রাপ্ত হইতে দেখা গেল । এই দর্শনের ফলে সেই ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বিশ্বাস জন্মিল । যখন সেই ব্যক্তির নিকট হইতে অহিফেনের এই বিষাক্ত ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় বিবরণ অপরে শ্রবণ করেন, তাহদের সে বিশ্বাসকে পরোক্ষ বিশ্বাস বলা যায়। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ বিশ্বাসীর অহিফেনের বিষাক্ত ধৰ্ম্মের কথা বলিয়া থাকেন বটে, কিন্তু এক স্থানে প্রত্যক্ষ ঘটনা এবং দ্বিতীয় স্থানে শোনা কথা মাত্র। যদ্যপি শোনা কথায় বিশ্বাস থাকে, তাহা হইলে যখন অহিফেন সেবনদ্বারা কোথাও বিষাক্ত লক্ষণাদি প্রকাশ পাইবে, সেই সময়ে যাহা শোনা কথা ছিল, তাহা প্রত্যক্ষ হইয়। যাইবে । এইস্থানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষের বিভিন্নতা থাকিতেছে ন । কিন্তু যদ্যপি শোনা কথায় বিশ্বাস না থাকে, তাহা হইলে কালসহকারে অহিফেনের বিষাক্ত লক্ষণাদি বিশ্বত হইয়া যাইবার সম্ভাবন এবং প্রকৃত ঘটনা দর্শন করিলেও তাহ। >br