পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २१४' ] হইলে অন্য উপায় নাই। চিকিৎসক কহিলেন, মাতার ক্রোধের শান্তি হইবার কোন উপায় তোমায় বলিয়াছেন? দলপতি কহিল, আজ্ঞ ই ! এত দিন বলেন নাই, সম্প্রতি আমার প্রতি আদেশ হইয়াছে যে, সকলে অবস্থামত র্তাহার পূজা দিলে, তিনি ঘর প্রতি দুই একটা করিয়া ছাড়িয়া দিবেন । চিকিৎসক গ্রামের লোকদিগকে ঔষধ সেবন করাইবার নিমিত্ত বৃথা চেষ্টা করিলেন । সকলের মুখে একই কথা, সকলেই বলে যে, সন্ধ্যার পর আকাশে কড় কড় শব্দে দূতগণ যাতায়াত করে, সকলেই পূজা দিবার জন্য ব্যতিব্যস্ত। এই দৃষ্টান্তে বাস্তবিক অন্ধবিশ্বাসের ছবি দেখা যায় । দুর্জনের সময়ে সমযে দেব দেবীর নামে অদ্ভূত কাহিনী প্রকাশ পূৰ্ব্বক, লোকের মনে সংস্কার বিশেষ স্থাপন করিয়া আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করিয়া থাকে, এ কথা অলীক নহে । আমাদের বাটীর নিকটে একবার মনস উঠিয়াছিলেন । এই সহরের অনেক ভদ্রলোকেরাও তাহ বিশ্বাস করিয়া পূজাদি পাঠাইতে সঙ্কুচিত হন নাই। বলিতে কি, আমাদের বাট হইতেও পূজা গিয়াছিল। সে ঘটনাটী এই। আমরা কয়েক জনে মিলিয়া রক্ষাকালী পূজা করিয়াছিলাম। সেই স্থানে তৎপল্লীস্থ গোয়াল এবং অপর শ্রেণীস্থ ব্যক্তিরা মনসা দেবীর মূৰ্ত্তি আনিয়া পূজা করে। পূজার পর মূৰ্ত্তিটাকে বিসর্জন না দিয়া দিন কয়েক তথায় রাখিয়া, এক দিন নিশিথকালে মা ! মা ! বলিয়। কয়েকজন লোকে চীৎকার করায় আমাদের নিদ্রা ভঙ্গ হয় এবং ছাদের উপরে উঠিয়া দেখি যে, একটী বিংশতি বয়সের বালক ভাবাবেশে বলিতেছে যে, “আমি মনসা, এই স্থানে আমার মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দাও, এখনি আমার পূজা না দিলে মহারাগান্বিত হইব।" যে ব্যক্তি এই ব্যাপারের স্থচনাকর্তা, সে কৃতাঞ্জলিপুটে বলিল, মা !