পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| لا ماه ] যে বিশ্বাস করা যায়, তাহাকেই বাস্তবিক অন্ধ বিশ্বাস বলিলে অন্যায় হয় না। কারণ এই বিশ্বাস দ্বারা ভগবান লাভের কোন কথাই নাই । কিন্তু আর এক হিসাবে অর্থাৎ যাহারা ভগবান লাভ করিতে না চাহিয়া অন্য কোন পদার্থ প্রাপ্ত হইবার জন্য অভিলাষ করেন, তাহাদের বিশ্বাসকে কখন অন্ধ বলা যায় না । এই নিমিত্ত বিশ্বাস বলিলে তাহ কখন অন্ধ বিশেষণ দ্বারা উল্লিখিত হওয়া উচিত নহে । স্নায়বীয় বিকারজনিত যে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটিয়া থাকে, তাহাও ঘটনা সম্বন্ধে মিথ্যা বলা যায় না, কিন্তু ঘটনাস্তরে প্রয়োগ করিলে অবশ্যই মিলিবে না । তর্কের অনুরোধে যদ্যপি অস্বাভাবিক ঘটনাকে অস্বাভাবিক বলিয়াই স্বীকার করা যায়, কিন্তু তাহা ভগবান বিষয়ে প্রয়োগ হইতে পারে না। এ কথা স্বীকার করিতে হইবে যে, একজন টাকা ভাবিয়া পাগল হইলে, সে তদবস্থায় কাগজখণ্ডকে কোম্পানির কাগজ কিম্বা নোট মনে করিলে তাহা কখন সত্য হয় না, সেইরূপ ঈশ্বর ঈশ্বর করিয়া ভাবিলে আর এক প্রকার উন্মাদ রোগ জন্মে ; যাহাতে লোকে হাসে কাদে গান গায় । এ প্রকার পরিবর্তন হওয়া মনুষ্যের পক্ষে অস্বাভাবিক, অতএব ইহাতে অতিরিক্ত চিন্তার বিকৃত ফল বলা যুক্তিবিরুদ্ধ নহে বলিয়া অনেকের ধারণা । চিস্তা সম্বন্ধে একটী নিগুঢ় তত্ত্ব আছে। সত্য বস্তুর নিমিত্ত সত্যকে অবলম্বন করিয়া চিন্তা সাগরে ভাসিয়া যাইলে সত্যতেই উপনীত হওয়া যায়, কিন্তু সত্য চিস্তায় অসত্যাবলম্বন করিলে কিরূপে সত্য লাভ হইবে ? কালীঘাটে মা কালীর মন্দির আছে সত্য। যে কেহ কালীঘাটের রাস্তায় যাইবে সেই তথায় উপস্থিত হইবে, কিন্তু কালীঘাট মনে করিয়া পেড়োর পথে শুভযাত্রা করিলে তাহার ভাগ্যে কি কখন