পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৩

[ οου Ι ঐহিক বিপদ আপদ উপশম করিয়া দিতে পার । আমাদের ইহার অতীত শক্তি নাই । ভগবতীর দাসদাসীর শক্তি কতদূর, তাহা বুঝিয়। দেখ । তুমি আরও বুঝিয়া লও। তুমি লোকের ভাল মন্দ করিয়া যাইতেছ, তোমার পূজার উদ্দেগুই সেই প্রকার দাড়াইয়াছে। আমার পূজা করিয়া থাক, ভগবতীর সহিত অস্থাপি দেখা সাক্ষাৎ নাই। তোমার সাধনভজন লোকের শুভাশুভ কার্য্যেই পর্য্যবসিত হইয়াছে। তুমি কাহাকে গ্রহ বিগ্ৰহ হইতে মুক্ত করিতেছ, কাহাকে ধনৈশ্বর্ঘ্যের অধিকারী করিতেছ, কাহাকে মারিয়া ফেলিবার কৌশল করিতেছ, কাহাকে উচাটন মন্ত্রের দ্বারা উন্মত্ত করিয়া দিতেছ। বিপ্র ! তোমার কি হইতেছে ? তুমি কি করিতেছ, হিসাব করিয়া দেখ দেখি ! পরকালে তোমার কি গতি হইবে ? লোকের ঐহিক শুভাশুভের তুমি কারণস্বরূপ হইতেছ বলিয়। তোমাকে তাহার পাপ ভোগ করিতে হইবে । স্মরণ রাখিও, পরিত্রাণের ভার আমাদের নাই । ভগবতীর পরিচারিক বলিয়। ঐহিক সুখ সম্পত্তি দিবার আমাদের শক্তি আছে । তোমার কনিষ্ঠের বিষয় একবার ভাবিয়া দেৰ । তিনি লোকসমাজে পূজিত বা সম্মানিত হইতে চাহেন না, যাহাতে লোকে তাহাকে মনুষ্য বলিয়। চিনিতে না পারে, এমন সাবধানে বাস করেন । অধিক বলিব কি ? তোমার আদেশমতে উনি যদিও মালা জপ করিতেছেন, কিন্তু ইহাতেও আত্মভাব গোপন করিয়া রাখিয়াছেন । শুদ্ধসত্ত্ব ভাবের সাধকের অন্তরে আদ্যাশক্তি কালীরূপ চিন্তা করেন, ললাটে চিতাভস্মের রেখার দ্বারা শৈব ভাবের পরিচয় দিয়া মুখে হরিনাম উচ্চারণ করিয়া থাকেন। তোমার ভ্রাতার দিকে চাহিয়া দেখ, অবিকল সেই ভাব প্রকাশ পাইতেছে কি না ? দেখ তুলসী মালা জপ করিতেছেন, ললাটে ত্রিপুণ্ড, রেখা,উহা বৈষ্ণবের লক্ষণ নহে, কিন্তু হৃদয়ে আনন্দময়ী