পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ తితిని ) বিরাজ করিয়া থাকেন। আপাততঃ আনন্দময়ীয় ক্রোড়ে শয়ন করিয়া স্তন্যসুধা পান করিতেছেন । জগন্মাতা তোমার সহোদরের জন্য সদাই চিন্তিত । বলিতে কি, কোন কোন দিন একেবারেই কৈলাসে প্রত্যাগমন করেন না। শিব আসিয়া কত বলিয়া কহিয়া দেবীকে লইয়া যান। তোমরা স্থল দ্রষ্টা, বিষয়রসাভিষিক্ত কলুষিত চিত্তে এই পবিত্র ভক্তচরিত কি সহজে অনুধাবন করিতে পারিবে ? কালকামিনীর বসিবার স্থানে কামিনীকে যত্নপূর্বক স্থান দিয়া তাতার সহবাসে অবিভূত হইয়া রহিয়াছ, বিশ্বজননীর ভাব বুঝিবার শক্তি জন্মিবে কিরূপে ? সে যাহা হউক, বিপ্ৰ ! তুমি অদ্য ভক্তাপরাধে অপবিত্র হইয়াছ, আমায় আর তোমার অধিকার নাই। তবে তোমার কল্যাণের একটী উপায় বলিয়। যাই, যদ্যপি তোমার কনিষ্ঠের পদরজ ধারণ করিতে পার, তাহা হইলে ভক্তাপরাধের মার্জনা হইবে । শুদ্ধসত্ত্ব অর্থাৎ সত্ত্বমুখ-চৈতন্য ভাবাশ্রয়ের সাধকের আত্মভাব অতি সাবধানে গোপন করিয়া রাখিয়া লোকসমাজে সাধারণ লোকের ন্যায় বসতি করেন । তাহদের বাহ্যিক কার্য্যে চারি অান মনের সম্বন্ধ থাকে এবং বারো অান মন ও ষোল আনা প্রাণ ভগবানের দিকে সংলগ্ন থাকে। প্রভু বলিতেন, যেমন চাকরাণীরা গৃহস্থের সমুদয় কৰ্ম্ম কাৰ্য্য করে, কাহারও পীড়া হইলে সেবা করে এবং কেহ মরিয়া যাইলে ক্ৰন্দনও করে, কিন্তু তাহারা মনে মনে জানে যে, ইহার কেহ আপনার নহে ; সত্ত্বমুখভাবাশ্রয় সাধকেরাও তদ্রুপ। তাহারা আপন পরিবারবর্গের সহিত কখন আধ্যাত্মিক সম্বন্ধ স্থাপন করেন না । সংসার করিতে হয় করিয়া যান, কিন্তু ভগবানের দিকে পূর্ণভাব রাখিয়া থাকেন। এইরূপ ভাবাশ্রয় ভূত সাধকের ঈশ্বর লাভ করিয়া তাহার সহিত আনন্দে দিনযাপন করিয়া যান। কিন্তু সে ভাব কাহার