পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯ ] বদন বিনিঃস্থত বাণীর দ্বারা কি সেইরূপ মুখোদয় হইবার কথা ? কখন নহে। প্রত্যেক পদার্থের স্বতন্ত্র ধৰ্ম্ম, সেই পদার্থবিশেষের আশ্রয়ে তদ্রুপ ধৰ্ম্ম লাভ করিতে সকলেই বাধ্য, ইহা প্রকৃতির অপরিবর্তনীয় নিয়ম । শীতে শৈত্য জ্ঞান, গ্রীষ্মে উষ্ণতাতুভব না করিয়া কে তাহার বিপরীত ধৰ্ম্ম অনুভব করিবে ? সেইরূপ স্থানিক ধৰ্ম্ম অতিক্রম করিয়া যাইবার কাহার অধিকার নাই । ঈশ্বর সাপনার উদ্দেশ্য ঈশ্বর হওয়া উচিত। এই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করিতে হইলে যে কার্য্য করা যায়, তাহাকে সাধন বলে । যে কারণচতুষ্টয় পূৰ্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি, তাহার প্রতি দৃষ্টি না রাখিলে উদ্দেশু সিদ্ধ হইতে পারে না । ঈশ্বর উদ্দেগু হইলেই যে ঈশ্বর नाड হয়, তাহা নহে। উদ্দীপক কারণ প্রয়োজন। উদ্দীপক কারণ দুইপ্রকার । একভাবে কার্য্য সিদ্ধি হওয়া, আর একভাবে সংশয় রূপ অবজন৷ লাভ করা । যেমন, কাহারও মনে ঈশ্বর দর্শন করিবার নিমিত্ত বাসন জন্মিয়াছে, এ ব্যক্তির উদ্দেশ্য ঈশ্বর লাভ করা ; উহাকে পূর্ববৰ্ত্তী কারণস্বরূপ কহ যায়। উদ্দীপক কারণস্বরূপ কোন বিশ্বাসীর সহিত সাক্ষাৎ হইলে তাহার ভাব পুষ্টিলাভ করিয়া থাকে। কিন্তু এই ব্যক্তি যদ্যপি অবিশ্বাসী হন, তাহা হইলে তাহার অবিশ্বাস রূপ অন্ধকার যাইয়৷ সেই ব্যক্তির উদেশ্বকে আবৃত করিয়া ফেলে। অতএব উদ্দীপক কারণের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিতে হয়। সমবৰ্ত্তী ও পরবর্তী কারণ দুইটাও উপেক্ষার কথা নহে। বিশ্বাসীর কথায় যদিও উল্লেখ সাধন পক্ষে সহায়তা লাভ হয় এবং সেই মুহূৰ্ত্তে যদ্যপি পুনরায় অন্যান্য বিশ্বাসীর সহিত সাক্ষাৎ হয়, তাহা হইলে তাহার বিশেষ সহায়ত হইয়৷ থাকে এবং ঐ অবস্থার শেষ পর্য্যন্ত অর্থাৎ যাবৎ প্রকৃত পক্ষে ধারণা না হইয়া যায় সে পৰ্য্যন্ত কোনপ্রকার ব্যতিক্রম না ঘটে, তাহা হইলে