পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( రిd ] অর্থ লাভ করে, ইহা সত্ত্বমুখের লক্ষণ, কিন্তু কেহ তাহা না করিয়া দল বলে উপস্থিত হইয়া ধন সম্পত্তি ডাকাতি করিয়া লইয়া যায়। ডাকাতি করাকে তমো-মুখ চৈতন্য কহে। রামকৃষ্ণদেব কহিয়াছেন যে,কলিকালে তমে। মুখ চৈতন্তের ভাবেই সহজে ঈশ্বর লাভ করা যায়। ডাকাতের ডাকাতি করিবার পূর্বে স্বরাদি দ্বারা কালী পূজা করে। পূজান্তে তাহারা জয় কালী বলিয়া উহ! পানপূর্বক একখানি বস্ত্র ছিন্ন করিয়া বুঝিয়া দেখে যে, তাহার কৃতকাৰ্য্য হইবে কি না ? পরে তাহারা জয় কালী ! জয় কালী ! বলিতে বলিতে উন্মত্ত হইয় উঠে এবং তদবস্থায় ঢেকি কুড়ল দ্বারা গড়াগুম গড়াগুম করিয়া সিন্দুক ভাঙ্গিয় সৰ্ব্বস্ব আত্মসাং করিয়া প্রস্থান করে। তমো-মুখের ভাবেও তদ্রুপ। ইহা দুই প্রকার। তান্ত্রিক মতে কারণানুসারে কালী মন্ত্র জপ করিতে পারিলে অচিরাৎ ভগবতীর সাক্ষাৎ হয় এবং দ্বিতীয় মতে হরিনামামৃত-মদিরা পান করিয়া হরি হরি বোল বলিতে বলিতে করতালী দিয়| নৃত্য করিতে পারিলে তfবাবেশ হয়। ভগবানের এই ভাবরূপের সাক্ষাৎ প্রাপ্ত হওয়া তমোমূখ চৈতন্য সাধনের প্রথমাবস্থার ফল। ভাবরূপ ধারণা করিতে পারিলে ক্রমে লীলারূপ দর্শন করিবার অধিকারী হইয়া একদিন তাহাকে লাভ করা যায়। চতুর্থ ভাব, সাধু ভক্তের কৃপা। এই মতে কার্য্যের বিধি ব্যবস্থান থাকিলেও সদনুষ্ঠানের প্রয়োজন হইয়া থাকে। সদনুষ্ঠান বলিলে যে সাধন ভজন বুঝায়, তাহা নহে। সাংসারিক ভাবে অবস্থিতি করিয়া ভগবানের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া, সাধু ভক্তের রূপানয়নে পতিত হইতে পারিলে পতিত পতিতারাও ভগবান লাভ করিতে পারে । এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনই একমাত্র কারণ দেখা যায়। দক্ষিণ দেশে এক অতি ধনশালিনী বারাঙ্গনা ছিল। একদা কয়েকজন সাধু রৌদ্রাহত হইয়া ঐ