পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩১৭ ] আশা পূর্ণ করিয়া যান। সাধুর বারাঙ্গণার কথা শুনির অবাক হইয়া রহিলেন । র্তাহারা অগ্ৰে মনে করিয়াছিলেন যে, কোন ভদ্রলোকের উদ্যান হইবে এবং ঐ কামিনীটী কুলমহিলা হইবেন । বারাঙ্গন এবং তৎপ্রদত্ত কাঞ্চন উপহার দর্শন করিয়া সাধুদিগের আত্মারাম উড়িয়া গেল। একজন বলিয়। ফেলিলেন, উহার কথা শ্রবণ করিবার আর প্রয়োজন নাই, উপবেশনের ফলে বারাঙ্গনা এবং কাঞ্চনের সম্বন্ধ হইয়া গিয়াছে, কিঞ্চিৎ অবস্থিতি করিলে ন জানি কি বিভীষিকা উপস্থিত হইবে। সাধুদিগের গুরু কহিলেন, ঐ রমণী যাহা বলিয়াছে তাহা সত্য, যখন আসিয়াছি, তখন আর কথাই নাই। ঐ স্ত্রীলোক বারাঙ্গনাই হউক, আর কুলমহিলাই হউক, আমাদের পক্ষে আনন্দময়ী জননী ৷ জননীর মনে ক্লেশ দিয়া যাওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। এই বলিয়া তিনি বারাঙ্গনাকে কহিলেন, মা ! তোমার কথায় আমরা বিশেষ প্রীতি লাভ করিয়াছি। আমরা অস্তরের সহিত প্রার্থনা করিতেছি, ভগবান তোমার কল্যাণ বিধান করিলে আমরা আরও আনন্দিত হইব । আমরা সন্ন্যাসী, কাঞ্চনের কোন প্রয়োজন নাই। গৃহীর কাঞ্চন ব্যতীত চলে না, আমাদের বাসস্থান তরুমূল, তথায় কাঞ্চন প্রয়োজন হয় না। বনের ফল মূল ভোজন করি, তাহাতে কাঞ্চন প্রয়োজন হয় না, পরিধান করি বৃক্ষের বস্কল, তাহাতেও কাঞ্চনের প্রয়োজন হয় না, স্থানান্তরে যাইতে প্রয়োজন হয় না যে, কাঞ্চনের আবস্তক হইবে এবং কোথাও গমন করিলে ও ভগবানপ্রদত্ত পদযুগলের সাহায্যে তাহ সম্পূর্ণ হইয়া যায়। অতএব কাঞ্চন লইবার আমাদের কোন প্রয়োজন নাই । বারাঙ্গন সরোদনে বলিতে লাগিল, প্ৰভু ! এত দয়া প্রকাশ করিয়া আবার তাহাতে কৃপণতা করিতেছেন কেন ? দাসীর মনোবাসনা পূর্ণ করুন। গুরু কছিলেন, মা ! আমাদের