পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ల్ని ( ) কৃতাঞ্জলি হইয়া কহিলেন, মা গো ! তুমি সাক্ষাৎ গোপিনী । গোপিনী ন হইলে রঙ্গনাথজীকে প্রত্যক্ষ করিতে পারে, এমন শক্তি আর কাহার আছে ? তুমি আমার মা, আমি অশেষ অপরাধে অপরাধী হইয়াছি, দয়া করিয়া ক্ষমা কর। প্রভু ! বলিহারি তোমায় । রঙ্গনাথজী ! তোমার যেমন নাম, তেমনি রঙ্গ দেখাইলে । ঈশ্বরলাভ তিন প্রকার । ভগবানের ভাবরূপ উপলব্ধি করা, তাহাকে প্রত্যক্ষ করা এবং তাহাতে বিলীন হইয়া যাওয়া । সাধকের প্রথমাবস্থায় ভাবরূপ উপলব্ধি হয় । অনুরাগ বৃদ্ধি হইলে সঙ্কল্পানুসারে রূপ দর্শন অথবা নিৰ্ব্বাণ লাভ কর। প্রভু বলিয়াছেন যে, ভাবের ঘরে চুরি না রাখিয়া সরল বিশ্বাসী হইতে পারিলেই ভাবরূপের সম্বন্ধ স্থাপন হইয়া যায়। রূপ দর্শনেচ্ছা থাকিলে অতি-প্রয়োজন হওয়া চাই । তিনি বলিতেন যে, বদ্যপি কাহর ভগবানের রূপ দেখিবার ইচ্ছা হয়, তাহা হইলে প্রাণপণ করা কৰ্ত্তব্য। যিনি ভগবানের জন্য প্রাণ দিতে পারিবেন, তিনিই তাহাকে লাভ করিবেন, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। রামকৃষ্ণদেব এই নিমিত্ত বলিতেন যে, প্রাণপণ বলিলে কি বুঝিবে ? সতীর পতিবিয়োগকালে তাহার যেমন প্রাণের অবস্থা হয়, অন্ধের একমাত্র উপযুক্ত পুত্রবিয়োগকালে যেমন প্রাণের অবস্থা হয়, রাজচক্রবর্তী সাম্রাজ্যচু্যত হইয়া বন্দী হইলে যেমন তাহার প্রাণের অবস্থা হয়, কেহ জলমগ্ন হইলে তাহার প্রাণ যেরূপ হয়, ভগবানের আদর্শনে প্রাণের ঐ রূপ অবস্থা যখন উপস্থিত হইবে, তখনই ভগবানকে প্রত্যক্ষ করা যাইবে । এইরূপ অনুরাগ ব্যতীত তাহার দর্শনলাভ কলিকালে একেবারে অসম্ভব । ভগবান প্রত্যক্ষ করা দ্বিবিধ। লীলা এবং নিত্যরূপ। অবতার