পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩২৭ ] উপরেও যেমন, ছাইগাদায় ও তেমন । বকল্মায় অবিকল ঐৰূপ ভাব থাকা কৰ্ত্তব্য । ঠাকুর । ইহা ভাল নহে, আমার এমন করিলে কেন ? আমার প্রতি তুমি বড় নিষ্ঠুর, এরূপ কোন কথা বলিবার অধিকার থাকে না । ঠাকুর কহিতেন যে, বকলমাপ্রদত্ত ভক্তেরা যেরূপে প্রার্থনা করে, তাহা তাহার কথিত একটা গীতে প্রকাশ আছে । “যখন যেরূপে তুমি রাখিবে আমারে । সেই সে মঙ্গল যদি না ভুলি তোমারে। বিভূতি বিভূষণ, রতন মণি কাঞ্চন, বৃক্ষমূলে বাস কি রতনসিংহাসনোপরে ॥” আজ পঞ্চদশ মাসাবধি রামকৃষ্ণদেব সম্বন্ধে অনেক কথাই বলিলাম। তিনি কে, আমাদের কল্যাণবিধানের নিমিত্ত কিরূপ উপদেশ এবং ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন, তাহ সংক্ষেপে বলা হইল। যাহ। বলা হইয়াছে, যদ্যপি কেহ আকুপূৰ্ব্বিক বুঝিয়া পাঠ করেন, তাহ হইলে ধৰ্ম্মের নিদান জ্ঞান লাভ করিবার কখন ক্লেশ হইবে না। আমি জানি, এক দিন ধৰ্ম্মের নিদান জানিবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়াছিলাম, আমার স্মরণ আছে যে, আমাদের অধ্যাপকগণের, শাস্ত্রজ্ঞগণের, উপদেষ্টাগণের সেবা করিতে ক্ৰটি করি নাই, আমি খৃষ্টান এবং ব্রাহ্মসমাজ প্রভৃতি ধৰ্ম্মপ্রচার সম্প্রদায়বিশেষে পরিভ্রমণ করিয়া দেখিয়াছি, নিদান কুত্ৰাপি নাই। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, আমি ইতি পূৰ্ব্বে ধৰ্ম্মের কোন ধারই ধারিতাম না, ধৰ্ম্মের প্রয়োজন কাহাকে কহে, তাহাও কিছুই বুঝিতাম না, কিন্তু সত্য বলিতেছি যে,ধর্মের তর্ক করিতে কখন পৃষ্ঠদেশ দেখাই নাই । যখন যেরূপ তর্ক উপস্থিত হইত, তখন তাহার বিপরীত দিক লইয়। তর্ক করিতাম । তর্কে জয়লাভ কর।