পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిన్ని ] সমস্যায় পড়িয়াছিলাম। যদিও ঠাহার নিকট যাইয়া শান্তিলাভ করিয়াছিলাম, যদিও ধৰ্ম্মের নিদান জ্ঞান হইয়াছে বলিয়া আকাঙ্ক্ষা মিটিয়! গিয়াছিল, যদিও তাহাকে প্রাণ খুলিয়া শ্রদ্ধা ভক্তি করিতাম, যদিও রামকৃষ্ণদেব ব্যতীত আর কাহাকেও ভাল লাগিত না, কিন্তু তথাপি তাহাকে চৈতন্যদেব সদৃশ মনে করিতেও সঙ্কুচিত হইত। মনে হইত, ভগবান কি এত সহজ ? তিনি কি আমাদের মত মনুষ্য ? ঐ চিস্তা অসিলে আমি অন্য বিষয়ে মনোনিবেশ করিবার চেষ্টা পাইতাম । কিন্তু সে ভাব কি যাইবার বস্তু ? জিজ্ঞাসা করি কাহাকে, তাহাও বুঝিতে পারিলাম না ! এক দিন আপনি চিন্তা করিয়া দেখিলাম যে, আমাদের শাস্ত্রে যে অবতারকাহিনী আছে, তাহারা কিরূপ প্রকার । দেখিলাম সকলেই মানুষ । সকলেই সাধারণ মনুষ্যদিগের ন্যায় সময়ে সময়ে হাসিয়াছেন, কাদিয়াছেন, পীড়ার ক্লেশ পাইয়াছেন, আবার কাহারও অপঘাত মৃত্যু হইয়াছে। অবতারবাদ লইয়া চিন্তা করিতে তখন সাহস হইল এবং রামকৃষ্ণদেবকে অবতার বলিয়৷ আমার ধারণ হইয়া গেল । আমার এই ধারণাটী সত্য কি মিথ্যা, তাহ নিরূপণ করিবার জন্য এক দিন তাহার শ্রীমূৰ্ত্তি দর্শন করিতেছিলাম। তিনি বললেন, তুমি কি দেখিতেছ? আমি কহিলাম, প্রভুকেই দেখিতেছি । তিনি বলিলেন, তুমি আমায় কি মনে কর ? আমি বলিলাম, চৈতন্যচরিতামৃতে গৌরাঙ্গদেবের যে সকল লক্ষণ লিখিত আছে, তদ্বারা, প্ৰভু ! আপনাকে শ্ৰীগৌরাঙ্গই বলিয়। জ্ঞান হয়। তিনি কিয়ৎকাল চুপ করিয়া থাকিয়া বলিয়াছিলেন, বাম্নি এই কথা বলিত । সেই দিন হইতে আমি তাহাকে ভগবান বলিয়া জানিতাম । তাহার কার্য্যকলাপ এবং অন্যান্ত ভক্তদিগের অবস্থা দেখিয়া আমার এই সংস্কার ক্রমে বৃদ্ধি হইয়াছিল। পরে ষে দিন আমার সাধন ভজন ফিরাইয়।