পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ egg J উপাসকের তাহাকেই অদ্বৈত জ্ঞান কহেন, সুতরাং, তথায় অসামঞ্জস্ত ভাবের পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই অসামঞ্জস্য ভাব দূরীভূত করিবার নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব “অদ্বৈত জ্ঞান আঁচলে বেধে যা ইচ্ছা তাহ কর বলিয়া গিয়াছেন । এই সৰ্ব্বকল্যাণকর উপদেশবাক্যের তাৎপৰ্য্য কি ? আমরা পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে পদার্থদিগের ভাববৈচিত্র্য দেখিতে পাই। এমন কি এক পদার্থেরই ভাবের ইয়ত্ত করা দুরূহ হইয়া উঠে। পেয়ারা একটী পদার্থ, কিন্তু এক প্রকার আস্বাদন ও আকৃতিপ্রকৃতিবিশিষ্ট পেয়ারা হয় না। আঁব, কাঠাল প্রভৃতি সকল প্রকার ফলমূল লইয়া বিচার করিলে সৰ্ব্বত্রে এইরূপ বহুভাব প্রাপ্ত হওয়া যায়। উদ্ভিদূরাজ্যের প্রত্যেক তরু, লতা, গুল্ম, ওষধি ও তৃণাদি বহুভাবব্যঞ্জকরুপে প্রতীয়মান হয় । জান্তবরাজ্য অবলোকন করিলে মনুষ্যবুদ্ধি একেবারে বিকৃত হইয়া যায়। প্রতিগুহে প্রত্যেক পরিজন পরস্পর পার্থক্যের পূর্ণ পরিচয় দেয়। গৃহ ছাড়িয়া পল্লীতে যাইলে এই পার্থক্য জ্ঞান সম্যকরূপে বৰ্দ্ধিত হয়। পল্লী অতিক্রম করিয়া যত অগ্রসর হওয়া যায়, ততই পার্থক্যের চড়ান্ত হইয়া আইসে । আপন গৃহে বংশক্রমানুসারে সম্বন্ধ ও ভাবের ইতরবিশেষ হয় । পিতা, পিতামহ, বৃদ্ধপিতামহ, অতিবৃদ্ধপিতামহ প্রভূতি কয়েক পুরুষ উদ্ধে যাইলে ক্রমেই সম্বন্ধের ব্যবধান বাড়িয়া যায়। পিতার সহিত যে সম্বন্ধ, পিতামহের সহিত সেরূপ হয় না। পিতা কিম্বা পিতৃব্যাদি বিয়োগে পিতামহের যে প্রকার ক্লেশ হয়, পৌত্র বিয়োগে তাহার সে প্রকার ক্লেশ হইতে পারে না। পল্লীর কথায় প্রয়োজন নাই, তথায় একেবারে আত্ম সম্বন্ধ চুত হইয়া যায় । দেশ দেশান্তরের কথা কথার অতীত বিষয় । জীব জন্তু কীট পতঙ্গের গণনা করিতে