পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లిగి _] বুঝিলাম ? পুনরায় তাহ সংক্ষেপে দেখা হউক। আমরা বুঝিয়াছি যে, মনুষ্যজাতি বলিলে এক প্রকার পদার্থ ও ভাবাদি সন্মিলনসম্ভত পদার্থ বুঝায় হিন্দু, যবন, ম্লেচ্ছ, চীন, রুষ, তাতার, কাফ্রি প্রভূতি সভ্য অসভ্য, নরনারী, ধনী, নিধনী, জ্ঞানী, মুর্থ, সকলেই এক প্রকার । এক্ষণে ধৰ্ম্ম বৃত্তিটা লইয়া আলোচনা করিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য । যদ্যপি অন্যান্য বৃত্তিগুলির এক অদ্বিতীয় ভাবে থাকিয়া কার্য্যের অসমত প্রকাশ কব ধৰ্ম্ম হয়, তাহ হইলে ধৰ্ম্মরক্তিটাও সেইরূপ সৰ্ব্বত্রে এক বলিয়া স্বীকার না করিবার কোন হেতু নাই। এক জন ক্ষুধায় সন্দেশ থাইতেছে, আর একজন কলা খাইয়া জঠরানল নিবারণ করিতেছে। যে ব্যক্তি কলা ভক্ষণ করিতেছে, সে সন্দেশ না খাইলে কি তাহার ক্ষুধা স্বীকার করিব না ? আহার করা ক্ষুধার পরিচায়ক, সেইরূপ ধৰ্ম্মানুষ্ঠান ধৰ্ম্মভাবের নির্দেশকস্বরূপ । এস্থানে অদ্বৈত জ্ঞান ধৰ্ম্ম এবং তাই অণচলে বাধিয়া যাহা ইচ্ছা অর্থাৎ যে কোন প্রক্রিয়া, সাধন বা ভজন দ্বার স্বধৰ্ম্ম প্রতিপালন কর, ইহাই প্রভু রামকৃষ্ণের অভিপ্রায় । এইরূপে সকল নরনারীর ধৰ্ম্মবৃত্তি এক অদ্বিতীয় এবং তাহার কার্য্য বহুভাবব্যঞ্জক বলিয়া চড়ান্ত জ্ঞান জন্মিলে পরম্পর সমতা সংস্থাপনের কি আর বিলম্ব হইতে পারে ? সৰ্ব্বত্ৰে ধৰ্ম্ম এক, কিন্তু তাহার কার্য্য বহু ; ইহাকেই প্রকৃতপক্ষে বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম কহা যায়। রামকৃষ্ণদেব যে কেবল এইরূপ আনুমানিক সিদ্ধান্ত করিয়া বসিয়াছিলেন, তাহা নহে। আপনি নিজে কাৰ্য্য করিয়া যাহা দর্শন করিতেন, তাহাই সাধারণকে উপদেশ দিতেন। “অদ্বৈত জ্ঞান অণচলে বেঁধে যাহা ইচ্ছ। তাহ কর,” এই উপদেশটাও তাহার নিজের প্রত্যক্ষ সাধনের ফল বলিয়া নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন । বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মভাব শ্ৰীকৃষ্ণচন্ত্রের শ্ৰীমুখ হইতে সৰ্ব্বপ্রথমে প্র কাশিত হইয়াছে। তিনি