পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లగిసి ] মত কাৰ্য্য করিতেছে। ইহার পরম্পরকলহ করে না, ইহারা আপন ভাবে সুকলকে আকর্ষণ করিতে যায় না। যদ্যপি সেরূপ ঘটনা ঘটিত, তাহা হইলে উদ্ভিদ এবং জীবমণ্ডল এক মুহূৰ্ত্তকাল বাচিতে পারিত না। জীব এবং উদ্ভিদ্‌মণ্ডলের সমতারক্ষার কারণ নিরূপণ করিলে দেখা বার যে, উহারা আপনাপন কাৰ্য্যের দ্বারা পরস্পরের সহায়তা করিয়া থাকে। যতক্ষণ উহারা আপন কাৰ্য্য আপনি করে, ততক্ষণই সমতা রক্ষা হয়। এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেবের অভিপ্রায়ে ধৰ্ম্মের সমতা স্থাপন করিলে আপনাপন ভাব রক্ষা ও প্রতিপালন করা বুঝায়। হিন্দুতে হিন্দুস্তাব, মুসলমানে মহম্মদীয় ভাব, খৃষ্টানে খ্ৰীষ্ট ভাব, এবং বৌদ্ধে বুদ্ধ ভাব অর্থাৎ যাহার হৃদয়ে যে প্রকার ভাব উথিত হইবে, সেই ভাব তাহার নিজের বলিয়া বুঝিতে হইবে। সে ভাব অন্যের নহে। সে ভাবে অন্তকে আকর্ষণ করা সমতাস্থাপনের তাৎপৰ্য্য নহে। এই নিমিত্ত ৭ই আমার বলিতেন, যেমন বাটীর কৰ্ত্ত এক অদ্বিতীয়, নানাবিধ ভাব তাহাতে আছে । তিনি পিতা, তিনিই পিতামহ, তিনিই মাতামহ, তিনিই সময়ে বৃদ্ধপিতামহ এবং মাতামহ, তিনিই স্বামী, তিনিই পুত্র, তিনিই দৌহিত্র, তিনিই শ্বশুর, তিনিই জামাতা, তিনিই সাধু, তিনিই শপাধু, তিনিই চোর, লম্পট, অর্থাৎ যত প্রকার ভাব সম্ভবে, সমুদয় এক ব্যক্তিতে সম্ভবে। কিন্তু এই বিবিধ ভাবের কার্য্য এক স্থানে হয় না । বিবিধ ভাব বলিলে কাৰ্য্যের পার্থক্য আসিতেছে । স্ত্রীর ভাব কন্যায় কিম্বা পুত্রবধুতে কাৰ্য্য করে না। স্ত্রীর ভাব স্বতন্ত্র, কন্যার ভাব স্বতন্ত্র এবং পুত্রবধুর ভাব স্বতন্ত্র অর্থাৎ বাটীর কৰ্ত্ত মধ্যবিন্দু বা কেন্দ্রবৎ এবং পরীধির বিন্দুবৎ ভিন্ন ভিন্ন ভাব । মধ্যে কৰ্ত্ত বসিয়া পাছেন, চারিদিকে পারিবারিক সম্বন্ধ বা ভাব দেদীপ্যমান রহিয়াছে । প্রত্যেক ভাব এক মধ্যস্থানেই পর্য্যবসিত হইয়া থাকে। এই অবস্থায়