পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రినాలి ) সমতা দুষ্ট হয়, এই স্থানেই সকল ধৰ্ম্ম নিজ নিজ ধৰ্ম্মের তান উখিত করিয়া সমস্বরে বাদিত হইতেছে। যেমন, ঐক্যতান বাদনে বিবিধ প্রকার যন্ত্রের সমস্বর শ্রবণপথে ধ্বনিত হইলে শ্রুতিমধুর হয়, ধৰ্ম্মজগতে রামকৃষ্ণদেব অদ্বিতীয় ব্যাণ্ড মাষ্টার এবং তাহার নিকটে সকল ধৰ্ম্ম-যন্ত্র সমস্বরে বাদিত হইয়াছে । এই নিমিত্ত বলিতেছি যে, বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম বলিলে শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণদেবকেই বুঝায়। তিনি ব্যতীত আর দ্বিতীয় ব্যক্তি বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের প্রত্যক্ষ অভিনয় অদ্যাপি কোন দেশে কোন কালে করেন নাই । যদ্যপি বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিতে হয়, যদ্যপি বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের প্রত্যক্ষ অভিনয় দেখিতে হয়, তাহা হইলে রামকৃষ্ণদেব ব্যতীত দ্বিতীয় স্থান নাই । একথা কেহ মনে না করেন যে, বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম বলিলে সমুদয় ধন্মের ভাব একজনকে আয়ত্ত করিতে হইবে, সকল ধৰ্ম্মের লেজামুড়া বাদ দিয়া তাহার সারাংশ গ্রহণ করিতে হইবে । যেমন, পাচ ফুলের তোড়া হয়, ধৰ্ম্মজগতে তাহা হয় না । ঈশা, মুম্বা, নানক, বুদ্ধ, চৈতন্য, নিরাকার সাকার একজাই করাকে বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম বলে না । ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মভাব বিনিময় করা ধৰ্ম্মজগতে সস্তবে না। আমার ধৰ্ম্ম তুমি লও, তোমার আমি নেই, এরূপ হইতে পারে না । গোলাপফুলের গাছে গোলাপই হয়, তাহাতে জুই বেল ফুটে না । জুই বেলগাছে গোলাপ জন্মায় না, আঁীব গাছে কাটাল, কাটাল গাছে আঁবি ফলে না, যে ফল ফুল যে গাছে ফলে বা ফুটে, সেই গাছ প্রয়োজন। যে যে ধৰ্ম্মসাধন করিলে যে যে ভাব প্রস্ফুটিত হয়, তাহা সেই সেই ধৰ্ম্ম ব্যতীত কখন ফুটিতে পারে না । গৌরাঙ্গের প্রেম ভক্তি অতি সুধাময় বটে, কিন্তু তাহা গৌরাঙ্গ-উপাসনা ব্যতীত কখনই লাভ করা যায় না। ধন্দাবনের প্রেমলীলা রাধাকৃষ্ণের উপাসনা ব্যতীত অন্যত্র লাভ করা