পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రినb' ) দেব অবনী মাঝারে প্রেমের প্রস্রবণ খুলিয়া আপামরকে প্রেমিক করিয়া সমতা স্থাপন করিয়াছিলেন । সে সময়ে জগাই মাধাইকে শ্ৰীগৌরাঙ্গদেব কৃপা না করিলে তাহাদের কি কখন অন্য উপায় হইত ? বর্তমান কালে সৰ্ব্বত্রে,সকলের মনে সমতা ভঙ্গের বিলক্ষণ লক্ষণ পরিবৃগুমান হইতেছে। চারিদিকে বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের জন্য হাহাকার উঠিয়াছে। যাহাতে একভাবে এক স্থানে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের প্রত্যেক নরনারী উপবেশন করিতে পারেন, যাহাতে সকল ধৰ্ম্মের সারভাগ মন্থন পূর্বক একস্থানে সংস্থাপিত করিতে পারেন, পরম্পর সৌভ্রাত্রস্বত্রে গ্রথিত হইয়া হিন্দু, মুসলমান, স্লেচ্ছাদি সমুদয় মনুষ্য পরস্পরকে আলিঙ্গন করিতে পারেন, এমন ধৰ্ম্ম সংস্থাপিত হওয়া উচিত। কেশব বাবু এইরূপ ধৰ্ম্মের প্রবর্তন করেন, চিকাগোর বিরাট ধৰ্ম্মমণ্ডলীতেও বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের অভিনয় করিবার চেষ্টা করিয়াছিল, এ প্রদেশেও স্থানে স্থানে ঐরুপ ভাবের আভাস পাওয়া যাইতেছে। লোকের এই রূপ অবস্থা হইবে জানিয়া ভগবান তাহার ব্যবস্থা করিয়াছেন। এক্ষণে রামকৃষ্ণদেব ধৰ্ম্মজগতের আভ্যন্তরিক কাৰ্য্য যাহা প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন, যদ্যপি বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মাকাজিত ব্যক্তির একবার মনোনিবেশ পূর্বক তাহা শিক্ষা করেন—শিক্ষা নহে, কার্য্যে করিয়া দেখেন—তাহা হইলে বুঝিতে পারিবেন যে, সকল ধৰ্ম্মের সারাংশ গ্রহণ করিয়া তাহাকে সৰ্ব্বসাধারণ বা বিশ্বজনীনরপে পরিণত করা যায় না। সাধনা অদ্ভুত সামগ্রী। আমরা সামান্ত অর্থকরী বিদ্যার সাধনায় যেরূপ ফল ফলিতে দেখিতে পাই, তাহ বিচার করিয়া বুঝিলে বলিতে হয় যে, শিক্ষা না করিলেও হয় না এবং শিক্ষা করিলেও হয় না। সাধনা পথে বিশ্ন'অসীম। গন্তব্য স্থানে উপনীত হওয়া কাহারও ভাগ্যে ঘটে এবং কাহারও ভাগ্যে ঘটে না । সকল