পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిసిపి ) ধর্মের সারাংশ গ্রহণ করা যায় না, তাহার হেতু এই যে, ধৰ্ম্ম সাধন লন্ধ বস্তু। সাধনার অধিকার কাহার আছে ? যদিও থাকে, তাহ। কয় জনৈর সম্ভবে ? যদ্যপি তাহার সম্ভাবনা হয়, তাহা হইলে স্থলজগতের ক্ষুদ্রতম মকুষ্যের কি কখনও সমুদয় ধৰ্ম্মের সারাংশ গ্রহণ করিবার সাধ্য হইতে পারে ? সারাংশ লইতে হইলে তাহার সাধন। চাই। সাধনা করিলে সময়ে তাহার সারাংশ লাভ হইবার সম্ভাবনা । যদ্যপি কাহাকে সমুদয় ধৰ্ম্মের সারাংশ বাহির করিয়া বুঝিতে হয়, তাহা হইলে শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের ন্যায় সাধক হইতে হইবে । সাধক হইলে সাধন করায় কে ? রামকৃষ্ণদেবের নিকট সিদ্ধপুরুষদিগের যে প্রকার সমাবেশ হইয়াছিল, এ প্রকার ঘটনা কি অদ্যাবধি আর কোন স্থানে হইয়াছে ? সেই অদ্ভুত ব্রাহ্মণীর ন্যায় দ্বিতীয় স্ত্রীলোকের ইতিবৃত্ত কি কেহ কখন পাঠ করিয়াছেন ? ব্রাহ্মণী হিন্দু কুলোদ্ভব। বলিয়া পরিচিত, বয়সে নবীন, হিন্দুর সমুদয় শাস্ত্রে অধিকার ছিল। বেঙ্ক জানিতেন, পুরাণ জানিতেন, তন্ত্র, একখানা নহে, পঞ্চতন্ত্রের সমুদয় জ্ঞান ছিল, কেবল তাঁহা নহে, এই সকল শাস্ত্রের সাধনা প্রণালী তাহার আয়ত্ত ছিল । উৰ্দ্ধমুখ তন্ত্রের অতি ভীষণ সাধনাদিতে সেই ব্ৰাহ্মণী রামকৃষ্ণদেবকে আপনি সমুদয় সহায়তা করিয়াছিলেন । এ রূপ ঘটনা উপন্যাসের চরিত্র রচনা নহে ; কখন কি জীবের ভাগ্যে সংঘটিত হয় ? তাই বলিতেছি যে, ইহা ভগবানের লীলা ব্যতীত কিছুই নহে। বৰ্ত্তমান কালের যেমন প্রয়োজন হইবে, তাহা জানিয়া • রামকৃষ্ণরূপে তাহার ব্যবস্থা হইয়াছে। এই বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মভাব শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণাবতারে উদ্ভাসিত হইয়া পরম পবিত্র গীতায় লিপিবদ্ধ ছিল । বর্তমান কালে শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণদের কাৰ্য্যের দ্বারা সেই ভাবের অভিপ্রায় সম্যকৃরূপে প্রকটত করিয়াগিয়াছেন। আমি পুনরায় বলি