পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৯ ] স্থাসৰ্ব্বস্ব আত্মসাৎ করে এবং চক্ষু ও হস্তপদাদি বন্ধনপূর্বক তাহাকে অতি দুরবর্তী নিবিড়ারণ্যে লইয়া যায় । তথা হইতে চলিয়: সাইবার সময় একজন বলিল যে, "আর কেন ? উহার সর্বস্বাস্ত করা হইয়াছে এবং যে অবস্থায় যে স্তানে আনিয়াছি, সে অবস্থায় এবং সে স্থান হইতে আর স্বশরীরে বাসস্থানে ফিরিয়, যাইতে হুইবে না, বহা অবশিষ্ট আছে, তাহ। পরিসমাপ্ত করিয় ষা ওয়াই আমার বিবেচনায় যুক্তিসিদ্ধ ” এই বলিয়। সে ঐ ব্যক্তির কণ্ঠদেশ সঞ্চাপন করিবার মানসে দক্ষিণ পদ উত্তোলন করিল । দ্বিতীয় ব্যক্তি নিষেধ করিয়া বলিল যে, “ভাই ! উহাকে এরূপে প্রাণে মরিলে কি হইবে ? অমর সরিয়া যাইলে যখন বন্য জন্তু আসিয়া জীবদ্দশায় শোণিত পান এবং মাংস ভক্ষণ করিবে,তখন উহার দুৰ্দ্দশার অবশিষ্ট্রাংশ পরিপূর্ণ হইবে।” তৃতীয় চোর এই সকল কথা শ্রবণ করিয়া বলিল যে, “আমার অভিপ্রায়ে উহাকে আর যন্ত্রণ না দিয়া বরং বন্ধনাদি বিমুক্ত করিয়া দিলে ভাল হয় ।” তৃতীয় চোরের কিঞ্চিং দয়া হৃদয় ভাবিয়া ঐ ব্যক্তি গড়াইয় তাহার চরণে আশ্রয় লইয়। কহিল, “মহাশয় ! আমি আপনার শরণাগত, আমায় রক্ষা করুন । বিষয় সম্পত্তি যাহা লইয়াছেন, তাহা অামি প্রত্যপণ করিতে বলিতেছি না, কিন্তু আমার বন্ধনাদি খুলিয়া দিলে জীবন লাভ করি।” তৃতীয় চোর তৎক্ষণাৎ অনুরোধ রক্ষ করিল। ঐ ব্যক্তি মুক্তিলাভ করিয়া চারিদিকে বৃক্ষরাজির ঘনোপবেশনে গাঢ় অন্ধকারপ্রযুক্ত দিক্‌বিদিক্ নিরাকরণ করিতে ন পারিয়া পুনরায় তৃতীয় চোরকে কহিল, “মহাশয় । আপনার কৃপায় আমি চিরবাধিত হুইয়াছি, কিন্তু যদ্যপি আমি বিরাগভাজন না হই এবং অন্ত প্রকার নূতন দণ্ডাহঁ ন হই, তাহ হইলে কোন পথে যাইলে আমি বাটতে পাছিতে পারিব, দয়া করিয়া আমায় তাহ দেখাইয় দিয়া জন্মের মত