পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 836 ) তৎক্ষণাৎ উত্তর আসিল, “মহারাজ ! আপনি তারি চতুর। চতুর না হইলে বা রাজা হইবেন কেন ? বুঝিয়াছি আপনি এ টাকা লইবেন না।” রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমি টাকা লইব কি না তুমি কিরূপে বুঝিলে ? আমি এখনও আমার অভিপ্রায় কিছু প্রকাশ করি নাই। তুমি আমায় বল যে এই টাক। জমা না খরচের ?” রাজার এই কথা সমাপ্ত না হইতেই অমনি উত্তর আসিল যে, “মহারাজ ! উহ জমার, খরচের নহে।” রাজা ঈষৎ হাসিয়া প্রস্থান করিলেন। পরদিবস প্রাতঃকালে রাজার ক্ষেীর কার্য্য সম্পাদনার্থ পরামাণিক আসিয়া উপস্থিত হইল। নাপিত মহাশয় রাজার পুরাতন ভূত্য, বিশেষ অনুগৃহীত এবং অতিশয় বিশ্বাসী। রাজা নাপিতের সহিত অনেক রহস্য করিতেন । কথায় কথায় বাশবনের টাকার কথাটী বলিয়া ফেলিলেন, কিন্তু জমা কি খরচের টাকা তাহা বলিলেন না। সাত ঘড়া টাকার কথা শুনিয়া নাপিতের মস্তিষ্ক বিঘূর্ণিত হইয়া গেল, কিন্তু রাজার নিকট কিছুই বলিল না। কার্য্যগতিকেই হউক, কিম্বা অন্য কোন কারণেই হউক, সে সম্প্রতি টাকার চেষ্টা করিতে পারিল না । সময়ে সময়ে ঐ কথা তাহার মনে উদয় হইত, কিন্তু কিছুতেই বাশবনে যাইবার সুবিধা হয় নাই। ক্রমে মনে করিল যে, হয়ত এত দিনে কে লইয়া গিয়াছে। কথাটা সুতরাং একরকম ভুলিয়া গেল। একদা একটা বনলতার অন্বেষণ করিতে করিতে নাপিত ঐ বাশবনের নিকটে সমাগত হইবামাত্র সে শুনিল, কে বলিতেছে, ‘ওরে পরামাণিক! সাত ঘড়া টাকা লইবি ?” পরামাণিক একবার এদিক, একবার ওদিক, একবার অগ্রে, একবার পশ্চাতে, পুনঃপুনঃ দৃষ্টিপাত করিয়া কাহাঙ্গেও দেখিতে পাইল না । পুনরায় শুনিল, “ওরে নাপিত। বল না, টাকা লইবি কি না ?” নাপিত ভয়ে আনন্দে পরিপূর্ণ