পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৩e ] কাতরা হইতে অগ্রসর হইয়া কাৰ্ব্বলিক অ্যাসিড, অ্যানিলিন প্রভৃতি বিবিধ পদার্থ বাহির হইল এবং এই সকল পদার্থ হটতে পুনরায় নানাবিধ অভিনব পদার্থ স্থষ্টি হইয়া ব্যবসার পুষ্টিসাধন পক্ষে বিশেষ সুবিধা হইল। গোলাপ ফুলের রং, চাপা ফুলের রং প্রভৃতি অসীম প্রকার রং প্রস্তুত হইয়া উপার্জনের কি সুন্দর পন্থাই বাহির হইয়াছে। কাঠুরিয়ার ন্যায় ইংরাজের উদ্যানের পর উদ্যান বাহির করিতেছে এবং তাহার সামগ্রী আমরা লইয়া তাহা হইতে অর্থোপার্জন করিয়৷ উদরান্নের সংস্থান করিতেছি । অতএব এই একটা দৃষ্টাস্তের দ্বারা রামকৃষ্ণদেবের এগিয়ে যাওয়ার উপদেশ আমরা বিশেষরূপে অনুধাবন করিতে পারিব। অন্য দৃষ্টান্ত বৃদ্ধি করিবার প্রয়োজন নাই । বর্তমানকাল যে সকল দেশে এই “এগিয়ে যাওয়া” স্থত্রানুসারে কার্য্য চলিতেছে, তথায় কেবল আর্থিক উন্নতিতে তাহারা আর মিশ্চিন্ত থাকিতেছে না। তথায় পারমার্থিক পথে অগ্রসর হইতেও ধাবিত হইতে দেখা যাইতেছে । কাঠুরিয়৷ যেমন অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিপতি হইয়৷ অশান্তির করগ্রস্ত হইয়াছিল, সেই অবস্থা যে কাঠুরিয়ার পক্ষে বিশেষ প্রকার বা এক জাতীয় ছিল, তাহা নহে, এই ভাব সৰ্ব্বত্রেই হইয়৷ থাকে। বাস্তবিক, এই পরমার্থের অভাব হইয়াছিল বলিয়া, প্রভুর কৃপাপ্রাপ্ত বিবেকানন্দ, প্রভুকথিত পারমার্থিকতত্ত্ব লাভের উপদেশগুলি প্রকাশ করিবামাত্র আমেরিকাবাসী নরনারীগণ বিমোহিত হইয়া গিয়াছে। তাহারা প্রভুর উপদেশগুলিতে অভূতপূৰ্ব্ব শান্তি লাভ করিয়াছে, তাহাদের অর্থামোদী প্রাণ নূতন আনন্দ পাইয়াছে। তাহাদের অস্তরে পরমার্থসঞ্চিত হইয়া তাহার। আনন্দসাগরে ভাসিতেছে । তাহারা ধন্ত ! তাহদের সহস্রবার ধন্যবাদ দিয়াও হৃদয়ের অাক্ষেপ মিটিতে