পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ শ্ৰীচরণভরসা। শাস্ত্রাদি সম্বন্ধে স্ত্রীরামকৃষ্ণদেবের উপদেশ। ব্রাহ্মণাদির চরণে প্রণাম । আমাদের সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক ভাব যে অতিশোচনীয়াবস্থায় পতিত হইয়াছে, তাহা প্রত্যেক চিন্তাশীল ধৰ্ম্মানুরাগী ব্যক্তিই প্রাণে প্রাণে বুঝিতে পারিতেছেন। পূৰ্ব্বে সকল বিষয়েই নিয়ম ছিল, তাহ এখন একেবারে শিথিল হইয়া আসিয়াছে বলিলে অত্যুক্তি হয় না। আমাদের এই অবস্থাপরিবর্তন যেরূপ তীব্র ভাবে সংঘটিত হইতে আরম্ভ হইয়াছে, তাহাতে বোধ হয়, অতি সত্বরেই আমাদের হিন্দু নাম পৰ্য্যন্ত বিলুপ্ত হইয়। যাইবে। প্রভু রামকৃষ্ণদেব আমাদের এই চরম অবনতির সময়ে অবতীর্ণ হইয়া অবস্থাকুযায়ী উপদেশ প্রদান করিয়া গিয়াছেন। তাহার উপদেশানুযায়ী কাৰ্য্য করিতে পারিলে, বাস্তবিক যে আমাদের সমূহ কল্যাণ সাধিত হইবে, সে বিষয়ে অম্বুমাত্র সন্দেহ নাই। অদ্য আমি তাহার সেই উপদেশ আলোচনা করিতেই আপনাদের নিকট আসিয়াছি। যদিও আমি বিশেষরূপে জানি যে, আমার ন্যায় দুৰ্ব্বল ব্যক্তির এরূপ কার্ঘ্যে প্রয়াদ পাওয়া অতীব রহস্তের . কথা, কিন্তু শুনিয়াছি যে, রামচন্দ্র যখন সীতা উদ্ধারের জন্ত সেতু বন্ধন করেন, তখন হনুমান জাম্বুবান প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ বীরেরাই তাহার কাৰ্য্যের বিশেষ সহায়তা করিয়াছিল। তৎকালে একটী ক্ষুদ্ৰ কাষ্ঠবিড়ালী সেতুর বালুক লইয়া ক্রীড়া করিতেছিল। হনুমান তদর্শনে ক্রুদ্ধ