পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 08 | ভগবানের লীলাবলম্বন করা সত্ত্ব-রজঃগুণের অভিপ্রায়। পৌরাণিক ভাববিশেষ লইয়া দিন যাপন করা সত্ত্ব-রজোর কার্য্য। এইরূপ সাধনায় মনের সহিত ভগবৎ সম্বন্ধ অৰ্দ্ধেক এবং অৰ্দ্ধেক সাংসারিক ভাবে পূর্ণ থাকে । সত্বভাবের সাধনায় ভগবানকে সৰ্ব্বস্ব জ্ঞানপূৰ্ব্বক মানস সিংহাসনে র্তাহাকে বসাইয়া দেহের অধীশ্বর করিবার নিমিত্ত কার্য্য হইয়া থাকে । এইভাবে অহংজ্ঞান থাকে না। অহংভাবের যাহা প্রকাশ হয়, তাহ দাসভাবে পূর্ণ। সাত্বিক সাধন। পৌরাণিক নিগুঢ় ভাবে সংগঠিত হইয়া থাকে । সত্ত্বঃ-রজঃ-তমঃ মিশ্রিত সাধন সকল মতের প্রারম্ভে দেখা যায়, ইহার বিশেষ কোন ব্যবস্থা নাই । যে সাধনচতুষ্টয় কথিত হইল, তাহ ব্যক্তিবিশেষের মানসিক ভাবের নিমিত্ত নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে । মনুষ্য কখন এক গুণ বিশিষ্ট হইতে পারে না, সুতরাং গুণভেদে সাধনাও কখন এক প্রকার হইবার নহে ৷ যে, যে গুণের ব্যক্তি, তাহাকে সেই গুণসম্পন্ন সাধনা দেওয়া উচিত । এই নিমিত্ত দেশ, কাল, পাত্র এবং উদ্দেশু, অর্থাৎ গুণ বিচার পূৰ্ব্বক ঈশ্বর সাধনে নিযুক্ত হইতে হয়। ঈশ্বর সাধনার ইতিহাস পাঠ করিলে দেখা যায় যে, উপরোক্ত বিচার দ্বারা যুগধৰ্ম্মের ব্যবস্থা হইয়া আসিতেছে। সত্যকালের সাধনার সহিত পরবর্তী যুগত্রয়ের সাধনার তুলনা হয় না। তাহার কারণ কি ? কলিকালে অন্নগত প্রাণ, আহার করিবার সময় উত্তীর্ণ হইয়া যাইলে অসুস্থত রাখিবার স্থান থাকে না। এ অবস্থায় কি কখন ব্রহ্মচৰ্য্য সাধন সম্ভবে ? রজোতমোভাবে শরীর মন সংগঠিত, তথায় সত্ত্বগুণ কি কখন স্থান পাইতে পারে ? কেমন করিয়া একপ্রকার সাধন সত্য এবং