পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৭২ ] স্বষ্টি হইয়াছে। এই নিমিত্ত পুরাণকে ইতিহাসও কহ যায়। পুরাণের পাচট লক্ষণ নির্দিষ্ট আছে। স্বষ্টিপ্রকরণ, স্বষ্টিনাশ এবং পুনুস্থষ্টির বিবরণ, দেবতা তত্ত্ব, মন্বস্তর বর্ণনা এবং চন্দ্র ও স্বৰ্য্যবংশীয় রাজাদিগের ইতিহাস । পুরাণ অষ্টাদশভাগে বিভক্ত। সত্ত্ব, রজঃ এবং তমো গুণ বা এই ত্রি গুণের স্বরূপ ব্ৰহ্মা বিষ্ণু এবং মহেশ্বরপ্রধান ভাববিশেষে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা, সত্ত্ব গুণ প্রধান পুরাণে বিষ্ণু, নারদীয়, ভাগবত, গড় র, পদ্ম, এবং বরাহ প্রভৃতি ছয়খানি পুরাণ উল্লিখিত । ইহারা বৈষ্ণব পুরাণ অর্থাৎ বিষ্ণুর প্রাধান্ত দেখা যায়। দ্বিতীয় শ্রেণীর পুরাণসমূহকে তমোপ্রধান পুরাণ কহ যায়। ইহাতে মৎস্য, কুৰ্ম্ম, লিঙ্গ, শিব, স্কন্দ, এবং অগ্নি পুরাণাদি নির্দিষ্ট হইয়াছে। ইহাকে শৈবভাবসম্পন্ন পুরাণ কহে। রজোভাবপূর্ণ পুরাণে ব্রহ্মার প্রাধান্ত স্বীকার করা হয়। ব্রহ্মা, ব্ৰহ্মাণ্ড, ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত, মার্কণ্ডেয়, ভবিষ্য এবং বামন পুরাণ ইহার অন্তর্গত। বায়ুপুরাণের উল্লেখ আছে, উহা কথন কখন অগ্নির পরিবর্তে ব্যবহার হয়। এতদ্ব্যতীত অষ্টাদশ উপপুরাণ च्itछु । § পুরাণশাস্ত্রমতে অদ্বৈত ব্রহ্মের লীলারূপের উপাসনার পদ্ধতি লিপিবদ্ধ হইয়াছে। অনন্তশক্তিসম্পন্ন ব্ৰহ্ম বা সৎ চিৎশক্তির বিকাশস্বারা যেমন ব্রহ্মাণ্ড বিস্তারিত করিয়াছেন, তেমনি চিৎশক্তির দ্বারা অনন্ত অবতারের অভু্যদয় করিয়া থাকেন। এই অবতার বা দেবদেবী কাৰ্য্যবিশেষে প্রকটিত হইয়৷ সাধারণ জীবের কল্যাণ সাধন করিয়া থাকেন। জীবগণ এই বিশেষ বিশেষ অবতারদিগের অর্জন করিয়া দিব্যগতি লাভ করিয়া থাকে । পুরাণে যদিও নানাবিধ দেবদেবীর উপাসনা বৃত্তান্ত দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু প্রত্যেক দেবদেবীই সেই এক অদ্বিতীয় চিৎশক্তি