পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8१¢ ] উদ্দেশ্য । এই অবস্থা বৈদিক সমাধির ন্যায় অবস্থাবিশেষ । বামাচারের পরিণামও এই প্রকার। বামাচার এবং দক্ষিণাচারের পরিণাম এক বলিয়া কথিত হইলেও, বামাচারী সাধকদিগের সাধন পথে অতি সাবধানে বিচরণ করিতে হয়। প্রভু বলিতেন, বামাচার “পিছল ঘাট”, অর্থাৎ সাবধান না হইলে এই পথে প্রতি পদে পদে পদস্থলিত হইবার সম্ভাবনা। অনেকেই এই ভাবে বিচরণ করিতে করিতে প্রকৃত উদেশ্য ভুলিয়া যান এবং কেবল স্কুল ভাবে আকৃষ্ট হইয়া সমূহ বিপদপাৎ করিয়া থাকেন । তন্ত্রে মাতৃভাবের উপাসনার প্রাধান্ত দেখিতে পাওয়া যায়। আজকাল আমাদের মধুরাদি অন্যান্য ভাব বিকৃত হইয়াছে বলিলে অতু্যক্তি হয় না। আমরা তমো প্রধান প্রকৃতিবিশিষ্ট হইয়াছি, সুতরাং আমাদের পক্ষে মাতৃভাবই অবলম্বন করা শ্ৰেয় । সুমধুর মাতৃভাবে উপাসনা করিলে আমাদের হৃদয় দ্রবীভূত হইয়া যায়, প্রাণে বিমল আনন্দের অভু্যদয় হইয়া থাকে। কিন্তু আমরা যদ্যপি মধুরাদি ভাব অবলম্বন করিতে যাই, তাহ হইলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, অধিকাংশ স্থলেই কণচারসের আস্বাদন করিয়া ফেলি। এই জন্তই, কৰ্ত্তাভজা নবরসিক প্রভৃতি সম্প্রদায়দিগের মধ্যে নানাবিধ কুৎসিৎ ভাবের প্রচলন দেখিতে পাওয়া যায় । এই মাতৃভাব সাধারণের অবলম্বনীয় বলিয়াই প্রভু আমার সদা সৰ্ব্বদা “মা কালীর ইচ্ছা" বলিতেন। কিরূপে মাতৃভাবে উপাসনা করিতে হয়, কিরূপে ভগবতীকে মা বলিয়া ডাকিতে হয়, তাহা জীবকে শিক্ষা দিবার জন্য, তিনি নিজে সাধনাবস্থায় দেখাইয়া গিয়াছেন। সে সময়ে তিনি মাতৃহারা শিশুর ন্যায় “মা আনন্দময়ী ! কোথায় আছিস্ মা ! দেখা দে মা !” বলিয়া রোদন করিতে করিতে ভাগীরথী