পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8११ ] মানিতে চাহে, সকল দেবতাকেই ভক্তি করিতে চাহে । পশ্চিত্য শিক্ষার দোষে সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম প্রচার দ্বারা এবং হিন্দুকুল দীর্ঘকাল ধৰ্ম্মবিরোধী রাজাদিগের শাসনাধীনে থাকিয়া কতকগুলি প্রক্ষিক্তভাব শিক্ষা করিয়া শাস্ত্রবাক্যের সত্যাসত্যতা সম্বন্ধে বিচার করিতে আমরা শিক্ষা করিয়াছি । আমরা রামকৃষ্ণদেবের উপদেশ শ্রবণ করিয়া শাস্ত্র মৰ্ম্মের তাৎপৰ্য্য র্তাহার জীবনে দেখিয়াও তথাপি পূৰ্ব্বসংস্কারের হস্ত এড়াইতে পারিতেছি না, ইহা সামান্ত পরিতাপের কথা নহে । 鸭 রামকৃষ্ণদেব শাস্ত্ৰাধ্যয়ন করিয়৷ কিম্বা তাহা কাহার নিকট শ্রবণ করিয়া একথা বলেন নাই । তিনি ভগবানের বাক্য দৈববাক্য ব। ঋষিবাক্য বলিয়। অন্ধ বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হন নাই। ভিন্ন ভিন্ন শাস্ত্রের ভিন্ন ভিন্ন মত ভিন্ন ভিন্ন ভাব । বৈদাস্তিক শাস্ত্রানুসারে চিরসন্ন্যাস ব্রত অবশ্য প্রতিপালন করিতে হয়, পুরাণ এবং তন্ত্র মতবিশেষে তাহার প্রয়োজন হয় না। বেদান্ত মতে সত্ত্ব গুণাশ্রয় করিতে হয়, পুরাণ ভাবে রজে এবং তন্ত্রে তমোভাবেও ক্ষতি হয় না । বেদান্ত মতে নিগুণ নিরাকার ব্রহ্মোপাসনা, পুরাণ এবং তন্ত্রমতে সগুণ সাকার মূৰ্ত্তির উপাসনা। এইরূপ বিভিন্নতার নিদান নিরূপনার্থ তিনি কৃতসঙ্কল্প হইয় গুরুকরণ পূৰ্ব্বক প্রত্যেক শাস্ত্রামুযায়ী সাধন করিয়াছিলেন এবং তিন দিনের সাধনেই তিনি । সিদ্ধ মনোরথ হইতেন। একথা আমরা তাহার শ্ৰীমুখেই উপযুfপরি শ্রবণ করিয়াছি । একথাও এক্ষণে সাধারণে প্রকাশিত আছে যে, তিনি হিন্দু শাস্ত্রোক্ত সাধনপ্রণালী ব্যতীত মুসলমান এবং খ্ৰীষ্টানদিগের সাধন পন্থায়ও পরিভ্রমণ করিয়াছিলেন । এরূপ ভাবের সাধন কার্য্যে