পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8b-> | থাকে । মহাভারতে একলব্যের উপন্যাস বোধ হয় অনেকেই জানেন । একলব্য অতি নিচ কুলোস্তব বলিয়৷ দ্রোণাচাৰ্য্য তাহাকে শরবিদ্যা শিক্ষা দেন নাই। একলব। মৃত্তিকার দ্রোণ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাভক্তি দ্বার। অতি অল্প দিনের মধ্যে শরবিদ্যায় সুশিক্ষিত হইয়া পড়ে। একদ। দ্রোনাচাৰ্য্য পাণ্ডবকুলশেখর মহাবীর অর্জুনকে সমভিব্যাহারে লইয়া যাইতেছিলেন, পথিমধ্যে একলব্যের সহিত সাক্ষাৎ হয় । একলব্যের পরিচয় পাইয়৷ দ্রোণাচার্য) তাহাকে পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় তাহার অসাধারণ শক্তি দেখিয়। ভাবিলেন যে, অর্জুনকে পরাজয় করিতে এই এক ব্যক্তি আছে। দুৰ্য্যোধনের সহায়তা করিলে অর্জুন কখন রণে কৃতকাৰ্য্য হইতে পরিবে না । তিনি গুরুদক্ষিণার ভান পূর্বক তাহার দক্ষিণহস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি ছেদন করাইয়াছিলেন । এ দৃষ্টান্তে মৃত্তিকার গুরু জড়-গুরুর দ্বারা একলব্য কৃতার্থ হইয়াছিল । গুণ কাহার ? শুরুর না শিষ্যের ? শিষ্যেরই অধ্যবসায়ের চূড়ান্ত পরিচয় প্রাপ্ত হওয় যাইতেছে । রামকৃষ্ণদেব এই জন্যই বলিতেন যে, বৰ্ত্তমান কালে সকলেই গুরু হইতে চাহেন, শিষ্য হইতে কেহ চাহেন না, সুতরাং শিক্ষার সম্পূর্ণ ব্যাঘাত জন্মিতেছে। তিনি বলিতেন যে, গুরু বাছাই করিবার অবখ্যকতা কি ? গুরুর পরীক্ষা লইয়া গুরু কর। যারপরনাই রহস্তের কথা । পিতা বাছাই করিয়া কেহ কি জন্মগ্রহণ করে ? না কম্বিন কালে এরূপ কথা কেহ কথন শুনিয়াছে, না কম্বিন কালে এরূপ ঘটনা কখন ঘটিয়াছে ? গুরু নির্ণয় করাও তেমনি হাস্যজনক কথা । ক্ষুধাতুর যেমন ভোজ্য বস্তু পাইলেই ভোজন করে, দরিদ্র অর্থ পাইলেই আনন্দে গ্রহণ করে, রোগী ঔষধ পাইলেই সেবন করে, তেমনি ধৰ্ম্মপিপাসু ধৰ্ম্ম Wo) >