পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8b-8 ) কে বলিল ষে, এক একটা নক্ষত্র এক একটী সৌরমণ্ডল ?—বিশ্বাস । মনুষ্যকে মনুষ্য বলি কেন ?—বিশ্বাস। গাভীকে অশ্ব বলি না কেন ?—বিশ্বাস । যে কোন বস্তুর জ্ঞানলাভ করি বিশ্বাসই তাহার কারণ স্বরূপ । পিতাকে পিতা বলি কেন ?—বিশ্বাস । মাতাকে মাতা বলি কেন ?—বিশ্বাস । বিশ্বাস আছে যে, ক্ষৌরকার ঘাতক নহে, তজন্য নিঃসন্দেহে গলা পাতিয়া রাখি । জলপথে গমনকালীন নৌকায় আরোহণ করি কেন ?—বিশ্বাস, যে উহাতে কোন আশঙ্ক। নাই । অপরের কথায় বিশ্বাস করিয়াই কার্য্য করিতে হয় । সকল সময়ে সকল বিষয়ে প্রত্যক্ষ করিয়া কার্য্যে প্রবৃত্ত হওয়া যায় না এবং অনেক সময়ে তাহ সম্পূর্ণ অসম্ভব। যেমন পিতা সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ সিদ্ধাস্ত করিতে যাইলে বাতুলতার চড়ান্ত পরিচয় দিতে হয়। যেহেতু পিতা নিরূপণ করা মকুষ্যসাধ্যাতীত । মাতার কথায় বিশ্বাস ন করিলে পিতা স্থির হয় না । অতএব বিশ্বাসই কাৰ্য্য সিদ্ধির একমাত্র নিদান বলিয়" জ্ঞাত হওয়া উচিত । অামাদের অগণন শাস্ত্র, নানা মুনির নানা মত । যখন যে মহাত্ম। আবিভূত হইয়াছেন, তখন সেই মহাশয়ের অভিলষিত শাস্ত্রেরই প্রাদুর্ভাব হইয়াছে। কখন বৈদিক, কখন পৌরাণিক, কখন তান্ত্রিক এবং কখন ত্ৰিবিধ মতের যৌগিক মত সকল প্রচলিত হইয়া বহুবিধ ভাবের শাস্ত্রাদি চলিয়া আসিতেছে । মধ্যে মধ্যে সংস্কারকগণ অপনাপন প্রিয় মতবিশেষের শ্রেষ্ঠতা দেখাইয়া সৰ্ব্বসাধারণকে সেই দিকে আকৃষ্ট করিতে যত্নবান হইয়া থাকেন। তাহদের কথায় বিশ্বাস করিয়। অনেকেই সেইদিকে ধাবিত হইয়া পরিশেষে বিভ্রাটেও পতিত হইয়াছেন। সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মপ্রচারকদিগের এইরূপে এক পক্ষীয় মত বিস্তার হওয়ায় আমাদের দেশে