পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8bυ নিক কহিতে লাগিলেন, “আরে তুমি যাও কোথায় ? এখনি যে পড়িয়া যাইবে । তোমার যে শরীরে ভয়ঙ্কর ব্যাধি প্রবেশ ক্লরিয়াছে।” কয়েদী একথা শুনিয়াও গৃহাভিমুখে চলিল, কিন্তু তাহার মনে মনে বিশ্বাস জন্মিল যে, তাহার শরীরের অবস্থা অতি শোচনীয় হইয়াছে। কিয়দ্ধর না অগ্রসর হইতেই, আর একজন বৈজ্ঞানিক বলিলেন, “ওহে তোমার মুখ চোখ পাংশুবর্ণ হইয়া আসিয়াছে। তুমি যে আর বাচিবে না। যাচ্ছ কোথায় ?” এই কথা শুনিয়াই কয়েদীর হৃদয় বিশুষ্ক হইয়। আসিল এবং বঁাপিতে কঁাপিতে তৎক্ষণাৎ মূচ্ছিত হইয়া ভূতলে পতিত হইল । বৈজ্ঞানিক গিয়া দেখেন যে, কয়েদী সংস্কার বলে মরিয়া গিয়াছে । দ্বিতীয় কয়েদীকে লইয়া এইরূপ ভাবে পরীক্ষণ করা হয়। বৈজ্ঞানিকের এই ব্যক্তিকে একটা গৃহে লইয়া যাইয়া কহিতে লাগিলেন, “দেখ, অস্ত্রাঘাতে তোমার প্রাণ নাশ করিব।” এই বলিয়। তাহার। বড় বড় ছোর ইত্যাদি শাণিত অস্ত্র বাহির করিলেন। পর বলিতে লাগিলেন, “দেখ ! এই ছোরা তোমার দেহে প্রবেশ করাইয়া দিব । ছোরা প্রবেশ করাইয়া দিলেই রক্ত বহির্গত হইয়। নদীর ন্যায় বহিয়া যাইবে । তোমার তাহাতে বলক্ষয় হইবে ও তুমি কঁাপিতে কঁাপিতে মরিয়। যাইবে ।" কয়েদী এই কথা শুনিয়া শিহরিয়া উঠিল । তখন তাহার বাহু পদাদি বন্ধন করা হইল। পরে বৈজ্ঞানিকের তাহার চক্ষু বস্ত্রাবৃত করিয়৷ পূৰ্ব্বেক্ত নানা প্রকার ভীষণ দৃঙ্গের বর্ণনা করিয়া, গাত্রে একটা আলপিন ফুটাইয়া দিলেন এবং যে স্থানে আলপিন স্পর্শিত হইয়াছে, সে স্থানে কিঞ্চিৎ উষ্ণ জলও ঢালিয়া দেওয়া হইল। কয়েদী ছোরা দ্বারা আহত হইয়াছে, রক্ত পড়িতেছে ভাবিয়া কঁাপিতে কঁাপিতে পঞ্চস্ব প্রাপ্ত হইল ।