পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8సెe ] কহিলেন, আমি ধন্য যে, অদ্য আপনি দয়া করিয়া ইষ্টস্থান অধিকার করিলেন। আমি অন্য কিছু ভিক্ষা চাহি না, আশীৰ্ব্বাদ করুনু যেন আপনার পাদপদ্মে আমার রতি মতি থাকে কপট সাধু ঈষৎ হাসিয়া বলিল—তথাস্তু, তুমি অচিরে ভগবানের সাক্ষাৎকার লাভ করিবে । এই কথায় বিশ্বাসীর এমনি বিশ্বাস জন্মিল যে, পর দিন অতি প্রত্যুষে গাত্রোথান পূৰ্ব্বক ভগবানের আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন । এমন সময়ে লক্ষ্মীনারায়ণ গমন করিতেছিলেন। মাত৷ কহিতে লাগিলেন, প্রভু ! সহসা আমার প্রাণ কাদিয়া উঠিল কেন ? অামায় মা মা বলিয়া কে অস্থির করিল ? আমি আর ক্ষীর ভার সহ্য করিতে পারিতেছি না। নারায়ণ কহিলেন, চল দেবী চল, আর অধিক দূর নাই, ঐ দেখ ঐ সরল বিশ্বাসী পঞ্চম বর্ষীয় শিশুর ন্যায় রোদন করিতেছে । উহার নিমিত্তই আমি আসিয়াছি । তোমায় ইতিপূৰ্ব্বে সকল কথাই বলিয়াছি। সে যাহা হউক, বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং সাধু কপট হইলেও তাহার ভেকের মহিমা রক্ষা করা, আমার কৰ্ত্তব্য । সে, যে কোন উদ্দেশ্যেই হউক, যখন আমার ভক্তের ভাবাশ্রয় করিয়া আমার কথা বলিয়া গিয়াছে, তখন তাহার কথা রক্ষা আর কে করিবে ! আমি সেই সাধুর বেশ ধারণ করিয়া অগ্রে উহার নিকটে গমন করি, তুমি তদনন্তর জ্যোতিৰ্ম্ময়ীরূপে প্রকাশিত হইবে। নারায়ণ অনতিবিলম্বে কপট সাধুর আকারে উপস্থিত হইবামাত্র বিশ্বাসী কহিল, প্রভু! আপনার অপার করুণা দাসের প্রতি এত দয়। দয়াময় ব্যতীত সম্ভাবনা কোথায় ! প্ৰভু ! আমার কিছুই নাই ; ৷ আমি মন্ত্র জানি না, তন্ত্র জানি না, কি বলিয়া আপনার গুণকীৰ্ত্তন করিব ! আমার প্রাণে কত ভাব উঠিতেছে, কিন্তু প্রকাশ করিবার শক্তি নাই । অন্তৰ্য্যামী প্রভু ! অস্তরের সমাচার আপনার অবি