পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8>0 . ] করায় সকলে তাহাই বলিয়া থাকে। পরমহংস সম্প্রদায়ের কোন লক্ষণই তিনি রাখেন নাই। তিনি কিয়দিবস অর্থোপার্জন করিয়া ছিলেন, পরিণয়স্থত্রে আবদ্ধ হইয়াছিলেন, মাত ভ্রাতা, ভ্রাতুপুত্র ভাগিনেয় প্রভৃতি সকলের সহিতই সম্বন্ধ রাখিয়া লীলা খেলার কাল পৰ্য্যন্ত কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবস্থিতি করিয়াছিলেন। র্তাহাকে, সহসা দেখিলে কেহ সাধক বলিয়াও বুঝিতে পারিত না । একথা প্রকাশ আছে যে,একদা কলিকাতায় কোন সম্রাস্ত চিকিৎসক দক্ষিণেশ্বরের রাসমণির দেবালয় দর্শনের নিমিত্ত গমন করিয়াছিলেন। রামকৃষ্ণদেবকে উদ্যানের মালি মনে করিয়া জুইফুল তুলিয়া দিতে আদেশ করেন। রামকৃষ্ণদেব তৎক্ষণাৎ পুষ্প চয়ন করিয়া দিয়াছিলেন। এই চিকিৎসক প্রভুর পীড়ার সময়ে একবার দেখিতে গিয়াছিলেন, তিনি তাহাকে দর্শন করিবামাত্র আতঙ্গে বলিয়াছিলেন, হায় হায়, করিয়াছি কি, এই মহাপুরুষকে আমি মালি মনে করিয়াছিলাম। রামকৃষ্ণদেবের বাহিরের ভাব দেখিলে সাধারণ গৃহীদিগের ন্যায় বলিয়া যদিও বোধ হইত, কিন্তু তিনি আমাদের ন্যায় গৃহী ছিলেন না। র্তাহার ছিল সব আবার কিছুই ছিল না। তিনি বাস্তবিক বৈরাগীর মুৰ্ত্তি ছিলেন, সন্ন্যাসীর আদর্শ ছিলেন, বিবেকীর চূড়ামণি ছিলেন। গৃহস্থেরা যেরূপে আত্মসম্বন্ধ দ্বারা সংসার গঠিত করে, তাহার সংসারে তাহা ছিল না। তিনি সমুদয় ভগবানের সম্বন্ধই জানিতেন । অর্থকে অনৰ্থপাতের মূল কারণ বলিয়া বুঝিতেন, এইজন্য তিনি কষ্মিনকালে অর্থের সংশ্রব রাখিতে পারিতেন না। অনেকে তাহাকে সহস্ৰ সহস্র মুদ্রা প্রদান করিতে চাহিয়াছিল ; কিন্তু তিনি তাহ গ্রহণ করেন নাই, অথবা কাহাকেও লইতে দেন নাই। সাধারণের হিতসাধনের নিমিত্ত যেমন আমরা সৰ্ব্বদাই লালায়িত হইয়া বেড়াই,