পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8२१ ] তখন তাহার কারণ উচ্ছেদ করিতে যাইলে বিশ্ববিধাতার বিরুদ্ধাচরণ করা , হয় । এরূপাবস্থায় রামকৃষ্ণদেবের সহধৰ্ম্মিনীর প্রতি মাতৃভাবের কার্য্য হওয়৷ অস্বাভাবিক ঘটনা বলিতে হইবে। আমরা কি তাহার এই আদর্শ গ্রহণ করিব ? না কেহ কস্মিনকালে সেরূপ হইতে পারিবে ? অথবা তদ্রুপ হওয়া সকলের কৰ্ত্তব্য ? অাদর্শ বলিলে সকল ভাবই গ্রহণ করা উচিত। তিনি বিবাহ করিয়া, বিবাহ করা মনুষ্যের উচিত, তাহ স্থির করিয়া দিয়াছেন । কিন্তু তাহাকে গ্রহণ না করায় এই সিদ্ধান্ত করিতে হইবে যে, যাহাকে ঈশ্বর লাভ করিতে হইবে, যাহাকে বেদান্ত শাস্ত্রাদি মতে সংস্বরূপ মহাকারণে মিলিত হইতে হইবে, তাহাকে কামিনী ত্যাগ করিতেই হইবে । কামিনীর সহবাস মুখে একেবারে বঞ্চিত ন হইলে ধান ধারণ। সমাধি প্রভৃতি যোগের প্রক্রিয়াদিতে কখনই কৃতকার্য্য হইতে পারিবে ন। তিনি একথা বার বার বলিয়াছেন যে, যদ্যপি কেহ একহাজার বৎসর সংযমী হইয়া থাকিয়াৎ স্ত্রীসহবাস করা দূরে থাকুক, স্বপ্নে রেতঃ স্থলিত হয়, তাহা হইলে তাহার সমুদায় ব্রত একেবারে বিনষ্ট হইয়। যায় । তিনি সাধন দ্বারা জ্ঞান বিজ্ঞান সমুদায় অবস্থা অতিক্রম করিয়া নিৰ্ব্বিকল্প সমাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । তাহার পক্ষে স্ত্রীসহবাস যে একেবারে নিষিদ্ধ, সে বিষয়ে দ্বিকক্তি করিবে কে ? কিন্তু ভক্তি পথে তাহাতে দোষ হয় না, এইজন্য ভক্তদিগের শিক্ষার্থ দণর পরিগ্রহ করিয়াছিলেন । জ্ঞানীরা ভাবাশ্রয় করাকে মায়া বলেন কিন্তু ভাবাপ্রয় • করাই ভক্তির সাধন, সুতরাং এই উভয় সাধকের সাধনপ্রণালী সম্পূর্ণ বিপরীত । সেইজন্য জ্ঞানী প্রচারকদিগের সাধনপ্রণালী ভক্তের মনোনীত হয় না এবং ভক্তের সাধনপ্রণালী জ্ঞানীর চক্ষে বিষবৎ বোধ হয়। জ্ঞান এবং ভক্তির সামঞ্জস্য এপর্য্যস্ত কোথাও হয় নাই, ગર