পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 85b J কেহ জীবনে করেনও নাই। রামকৃষ্ণদেবই তাহার একমাত্র আদর্শ। জ্ঞানীরা রামকৃষ্ণকে জ্ঞানাবতার বলিয়া পরিকীৰ্ত্তন করিয়া থাকেন। ভক্তেরা তাহাকে ভক্তাবতার বলিয়া পূজা করেন। এই ভাবেই কাৰ্য্য চলিতেছে । রামকৃষ্ণদেব সাধারণ উপদেষ্টাদিগের ন্যায় মনুষ্যের প্রকৃতি বিচার না করিয়া উপদেশ প্রদান করিতেন না । তিনি জ্ঞান-প্রধানপ্রকৃতি-বিশিষ্ট ব্যক্তিদিগের জ্ঞানের উপদেশ প্রদান করিতেন, ভক্তি-প্রধান-প্রকৃতির ব্যক্তিদিগকে ভক্তিপথে বিচরণ করিতে বলিতেন । সত্ত্বগুণী যাহারা, তাহদের হৃদয়ে সত্ত্ব গুণের ভাব প্রবেশ করাইযা দিতেন, রজোগুণীকে রজোভাব এবং তমঃ প্রকৃতির ব্যক্তিকে তাহার আপনার ভাব পরিত্যাগ করিতে বলিতেন না । যে মাতাল বা লম্পট, তাহাকে মাদক দ্রব্য বা লাম্পট্য পরিত্যাগ করিতে বলিলে চলিবে কেন ? রামকৃষ্ণদেব ইহাদের প্রকৃতি বুঝিতে পারিতেন ও তদনুসারে ব্যবস্থাও করিতেন । সাধারণ উপদেষ্টার শক্তিতে তাহা কখনই সম্ভব হইতে পারে না। আমাদের কোনও বন্ধুর স্বরাপান দোষ ছিল । তিনি প্রভুর নিকটে যাতায়াত করিতেন । লোকে অনেক কথাই বলিত বলিয়া আমরা একথা প্রভুর নিকটে উল্লেখ করিয়াছিলাম। মনে করিয়াছিলাম, প্রভু *াহাকে এ বিষয়ে নিষেধ করিয়া দিবেন। প্রভু, আমাদের কথা শ্রবণ করিয়া বলিয়াছিলেন, “তোমাদের অত মাথা ব্যথা কেন ?” তাহার এই কথা শ্ৰৰণ করিয়া আমরা নিস্তব্ধ হইয়া রহিলাম। কিছুদিন পরে আমাদের ঐ বন্ধু স্বরাপান করিতে বসেন। এক বোতল পান করিয়া ফেলিলেন, কিন্তু একটা ঢেকুর উঠিয়াই তাহার সমস্ত নেশ চুটিয়৷ গেল। আর এক বোতল পান করিলেন । পুনরায় ঢেকুর উঠিল,