পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ & es ] হউক, আল্লা বলিয়া হউক, অথবা যীশু বলিয়াই হউক, কিম্বা কোন বিশেষ নাম না বলিয়া হউক, অর্থাৎ যে ব্যক্তি যে ভাবে ভগবানের অৰ্চনা করিবেন, তাহার সেই ভাবেই মনোরথ পূর্ণ হইবে। ইহাই রামকৃষ্ণদেবের উপদেশ । রামকৃষ্ণদেব এই উপদেশ আপনার জীবনে আদর্শস্বরূপ রাখিয়া গিয়াছেন। র্ত্যহাতে সকল ভাবেরই পূর্ণ ফুৰ্ত্তি দেখা যায়। তিনি এক অদ্বিতীয় রামকৃষ্ণরূপে, অদ্বিতীয় রামকৃষ্ণ আকারে, বৈদাস্তিক অদ্বৈত জ্ঞানের আকরবিশেষ ছিলেন । এই নিমিত্ত বৈদাস্তিকের তাহাকে পরমহংস বলিতেন ; তিনি লীলা রূপের অদ্বিতীয় পক্ষপাতী এবং প্রেম ভক্তির প্রস্রবণবিশেষ ছিলেন। এই নিমিত্ত ভক্তেরা তাহাকে অবতার বলেন । তিনি তন্ত্র সাধনার অদ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন। তন্ত্রাদি, বিশেবতঃ, উৰ্দ্ধমুখ তন্ত্রের অতি ভীষণ সাধনাদি যাহা অসাধ্য, তাহাও তিনি নিজে ব্রাহ্মণীর সাহায্যে সম্পন্ন করিয়া কেীলশ্রষ্ঠ বলিয়া তান্ত্রিক সাধকদিগের দ্বারা পরিকীৰ্ত্তিত হইয়াছেন। রামকৃষ্ণ নবরসের ঘনীভূত দেবত। বলিয়া নবরসিক সম্প্রদায় তাহাকে রসিকচড়ামণি বলিয়াছেন । তিনি বাউলের সাই, বৈষ্ণবের গোসাই, কৰ্ত্তাভজার আলেখ প্রভূতি নামে উল্লিখিত হইয়াছেন । শিখেরা নানক, মুসলমানের প্যাগম্বর, খ্ৰীষ্টানেরা যীশু,ব্রাহ্মের ব্রাহ্মজ্ঞানী বলিয়া তাহাকে বুর্কিতেন । এক্ষণে কিঞ্চিৎ স্থিরচিত্তে একবার ভাবিয়া দেখিলে কি হয় না যে, অদ্বৈত জ্ঞান অঞ্চলে বাধিয়া যাহা ইচ্ছা তাহ কর, এই ভাবের পূর্ণ আদর্শ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ । তিনি এক অদ্বিতীয় এবং কিরূপে সমুদয় ধৰ্ম্মভাব তাহাতে বিকশিত হইয। তাহাতেই পৰ্য্যবসিত রহিয়াছে ! অতএব রামকৃষ্ণদেবই, রামকৃষ্ণদেবের জীবনই, শাস্ত্র। রামকৃষ্ণদেবের জীবনই শিক্ষা করিবার একমাত্র স্থান । হিন্দু শাস্ত্র হউক, মুসলমান শাস্ত্র