পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8లి ) পৃথিবীর ক্রেগড়ে পতিত হইয়। ভক্তপদরজে সৰ্ব্বাঙ্গ বিলেপন না করিতে পারিলে, কামিনীর ভুজ-ভুজঙ্গের বিষ হইতে পরিত্রাণের আর দ্বিতীয় মহৌষধ নাই । বসুন্ধর চিরযৌবনা, তাহার বাল্য বৃদ্ধাদি কোন নিদিষ্ট কাল নাই । এই নিমিত্ত কবির। তাহাকে চিরযৌবন বলিয়াও বর্ণনা করেন । নাম সাধনের এইরূপ পরিণাম ন হইলে কামিনীর ক্রেগড়ে শয়ন করিয়া কি কখন সাধন হইতে পারে ? কামিনীকাঞ্চন বিষে শরীর জর্জরীভূত, এই বিষম জ্বরের প্রকোপে সৰ্ব্বদাই ব্যাকুলিত হইয়া বেড়াইতেছে, শরীর জ্বলিয়া যাইতেছে । এই জালা কি জরবৃদ্ধি দ্বার। নিৰ্ব্বাণ হইতে পারে ? কামিনীকাঞ্চনরূপ জ্বরে যদ্যপি কামিনীকাঞ্চনই ঔষধরূপে প্রয়োগ করা যায়, তাহা হইলে তাহার জীবন কতক্ষণ স্থায়ী হইতে পারে ? অহিফেনের বিষে যখন প্রাণ অস্থির হইয়া উঠে, তখন অহিফেন প্রয়োগ করা বিধেয় ? না যাহাতে বিষের গৰ্ব্ব থৰ্ব্ব হয়, সেইরূপ ব্যবস্ত করা কৰ্ত্তব্য ? অজ্ঞ ব্যক্তিদিগের দ্বারা সেরূপ ঘটনা অসম্ভব নহে। কিন্তু বিজ্ঞ চিকিৎসক কখন তাহা করিতে পারেন না । স্বয়ং ভগবান জীবের কল্যাণহেতু নাম সাধন প্রচার করিতে আসিলেন, তিনি কি কামিনী দংশনপ্রস্থত নিৰ্য্যাসরূপ অহিফেনের বিষাক্ত ধৰ্ম্ম বিলুপ্ত করিতে কামিনীভূজঙ্গিনীর বিষ ব্যবস্থা করিতে পারেন ? এ কথা কখনই সম্ভব হইতে পারে না । এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছেন যে, শ্ৰীগৌরাঙ্গ কৌশল করিয়া নাম সাধনার সহজ প্রণালী প্রদর্শন করিয়াছিলেন । নাম সাধনার ফল সম্বন্ধে প্রভু বলিয়াছেন যে, “যেমন বৃক্ষে পক্ষী বসিয়া থাকিলে করতালির শব্দ করিবণমাত্র তাহ উড়িয়া যায়, সেইরূপ মুখে হরি বলিয়া করতালি দিয়া নৃত্য করিলে দেহরূপ বৃক্ষ হইতে পাপৰূপ পক্ষী সমূহ পলাইয়া যায়।” নামের সাধন এই প্রকার ।