পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ to ) তদ্রপ কামিনীকাঞ্চনে আমাদিগের অন্তর বাহির পরিপূর্ণ হইয়া রহিয়াছে । হরিনামাদি প্রবেশ করিবার স্থান হইতেছে না। কামিনীকাঞ্চন ঈশ্বরের নামই প্রবেশ করিতে দিতেছে না, আমরা সাধনা করিব কিরূপে ? এক্ষণে জিজ্ঞাস্ত হইতেছে যে, তবে আমাদের উপায় কি ? আমরা কি এইরূপেই জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিয়া যাইব ? আমরা কি অর্থকরীবিদ্যা শিখিয়া অর্থোপার্জন পূৰ্ব্বক স্ত্রী পুত্র লোক লৌকিকতা রক্ষা করিয়া দিনযাপন করিয়া যাইব ? সুখ শাস্তির কথায় প্রয়োজন নাই, কিন্তু এইরূপ কামিনীকাঞ্চন অর্থাৎ উদর এবং ইন্দ্রিয়াদির পূজা করিয়া যাইলে কি মঙ্গুষ্যের কার্য্য করা হইবে ? এই প্রশ্ন মনে উদয় হইলে প্রাণ অমনি ঝঙ্কার দিয়া বলিয়া দেয়, রে মুখাধম! তুই মনের পরামর্শে কি ভাবিয়াছিস ? দেখ দেখ ! চক্ষু মেলিয়া দেখ, কুকুর শৃগালের দিকে চাহিয়া দেখ! দেখ, গর্দভ ! গৰ্দভাদি জন্তু কি দেখ দেখ ! গরু ! গরুদিগকে দেখ ! তাহারাও (ಕಿ ভরিয়া খায়, শারীরিক পুষ্টিলাভ করে এবং ইন্দ্রিয়াদির সুখাস্বাদনপূর্বক বংশ বিস্তার করিয়া বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের পুষ্টিসাধন করিতেছে। পেট ভরিয়া খাইলে মনুষ্যপদবাচ্য হওয়া যায় না, হিরামুক্ত খচিত বস্ত্র পরিধান করিলে, মনুষ্যপদবাচ্য হওয়া যায় না, রূপলাবণ্যের ভার বহন করিলে মকুষ্যপদবাচ্য হওয়া যায় না, পরিবার পোষণ করিলে মনুষ্যপদবাচ্য হওয়া যায় না ; মনুষ্য হইতে হইলে, ঐশ্বরিক জ্ঞানের প্রয়োজন ; সে জ্ঞানলাভ করিতে হইলে সাধনার প্রয়োজন । যিনি সাধনা করিয়াছেন, তিনিই প্রকৃত মনুষ্য পদে অভিষিক্ত হইয়া মানবজাতির উপরে একচ্ছত্রী সাম্রাজ্য বিস্তার করিতে পারিয়াছেন । এই পৃথিবীতে—এই হিন্দুস্থানে—এই বঙ্গদেশে—এই কলিকাতায়—কত ধনী, কত রূপবান, কত গুণবান, কত কামিনীবিলাষী ব্যক্তি জন্মিয়াছেন, কোথায় তাহার ? কিন্তু কো