পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৫২ ] কেহ নাই । তাহাদের মুখের দিকে চাহিয়া আহা বলিবার কেহ নাই ! এ অবস্থায়, এ বিপদে, বিপদবারণ মধুসুদন ভিন্ন আর কে আসিয়া দাড়াইবেন ? সংসারে সাংসারিক সম্বন্ধে সকলেই আবদ্ধ,নিজ নিজ স্বার্থ লইয়া সকলের সহিত সম্বদ্ধ। যাহার স্বার্থ নাই, সে কথা কহিবে না, সে দুঃখ ভাবিবে না, সে করুণ রোদন শুনিবে না । যাহার স্বার্থ আছে, সে স্বার্থহানির জন্য কেশাকর্ষণ করিবে, সহস্ৰ পাদুকাঘাত করিবে, তাহাকে যমালয়ে পাঠাইয়াও নিশ্চিন্ত হইবে না। এইরূপ আমাদের দুর্গতি দেখিয়া দুৰ্গতিনিবারক ভগবান রামকৃষ্ণরূপে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । আমরা কেহ সাধন করিতে পারিব না, কেহ সংসার ছাড়িতে পারিব না, কামিনীকাঞ্চনের হস্ত হইতে অব্যাহতি পাইব না বলিয়া, তিনি নিজে আমাদের হইয়া সাধন করিয়া গিয়াছেন । সাধন বিনা ভগবান লাভ হয় না, ইহা ভগবানের বিধান ; ভগবানের বিধান কখন খণ্ডন হয় না। কিন্তু দেশ, কাল, পাত্র বিচার করিয়া সাধনার ব্যবস্থা করাও র্তাহার নিয়ম । সেই নিয়মানুযায়ী বর্তমান কালে কাৰ্য্য হইবে বলিয়া কলির জীবের নিমিত্ত আপনি সৰ্ব্বমতের সাধনা পূর্বক শাস্ত্রের মৰ্য্যাদা রক্ষা এবং সেই সঙ্গে বকলুম ভার দিবার জন্য নরনারীদিগকে আজ্ঞা করিয়া গিয়াছেন । আজ সেইদিন উপস্থিত। যেদিন দীননাথ দীনের দুঃখে কাতর হইয়া বাহু প্রসারণপূর্বক করুণাবারি ঢালিয়াছিলেন। আজ সেই ইংরাজী বৎসরের প্রথম দিন, যেদিন রামকৃষ্ণদেব, “সকলের চৈতন্য স্মৃত্ত্বি হউক বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিয়াছিলেন। আজ সেই শুভ দিন, যে দিন প্রভু আমার কল্পতরু হইয়া আপামরকে কৃতাৰ্থ করিয়াছিলেন । কোথায় প্রভু রামকৃষ্ণ ! আজ সেই দিন উপস্থিত, আজ সেই আমরা আপনার করুণা তিক্ষার জন্য ভিখারী হইয়া উপস্থিত হইয়াছি, একবার