পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৬২ } ل۔ হইয়া থাকেন। অতএব ধ্যান বলিলে সাধকের সাধনায় তৃতীয়াবস্থা বুঝাইয়া থাকে। যথা, প্রথমে মুখে মন্ত্র জপ বা নাম করা, দ্বিতীয়াবস্থায় উহা মনে মনে জপ করা এবং তৃতীয়াবস্থায় মন্ত্র বা নাম অথবা মন্ত্র এবং রূপ মনের সহিত একাকার হইয়া যাওয়া, এই অবস্থাকে ধ্যান কহা যায়। নাম সাধনায় ভগবানের নাম লইয়া উপযুপিরি উচ্চারণ করিতে হয় । এই কাৰ্য্যটা ঠিক জপের ন্যায়। নাম বলিতে বলিতে ক্রমে উহা মনোময় হইয়া যায়, তখন নামসাধকের অবস্থার সহিত ধ্যানীর বিশেষ কোন প্রভেদ থাকে না। ধ্যানীর মনে ভগবানের রূপ বা নাম, নামসাধকের মনেও নাম এবং রূপ। অতএব এই দুই সাধকের ভাব একপ্রকার । বকল্মায়ও জপ এবং নাম । এই সাধনাও সম্পূর্ণ মানসিক । কারণ ভগবানে আত্মোৎসর্গ করিতে হইলে প্রথমে ভগবান বলিয়া ধারণা হওয়া চাই, এরূপ বিচার মুখের কার্য্য নহে, তাহা মনের দ্বার সাধিত হয় । মন যখন এই প্রকার বিচারে লিপ্ত থাকে, তখন তাহাকে ধ্যান কহ যায়। বিচারাবসান হইলে আত্মোৎসর্গ করিবার পর মুখে ভগবানের নাম এবং মনে র্তাহার রূপ বিরাজিত থাকে। এই নিমিত্ত তাহা মনের কার্যা বলিয়া সে অবস্থাকেও ধ্যান বলা কৰ্ত্তব্য । ধ্যান, নাম এবং বকলম, এই তিনটা মনের কার্য্য বলিলেও সাধনায় তাহাদের সম্পূর্ণ পার্থক্য ভাব লক্ষিত হয়। এই জন্য রামকৃষ্ণদেব সাধক মাত্রেরই ধ্যান করা অনিবাৰ্য্য বলিয়া তাহার স্থান নির্দেশ কালে বনে; কোণে এবং মনে উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । সাধক যে প্রকার সাধনপ্রণালীমতে সাধনা করিতে প্রবৃত্ত হউন না কেন, সাধন করিতে হইলে স্থানের বিশেষ প্রয়োজন । ইচ্ছামত তাহা হইতে পারে না। যেমন আমাদের তিনটী সাধনার বিষয় বলিয়া উল্লিখিত