পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭8 ] সাধনের প্রথম কাৰ্য্য। অতএব পূর্ণ মন প্রাপ্ত হইবার জন্য বনই একমাত্র স্থান । সংসারের ভিতরে বাস করিয়া কখন কোন রূপে মনের পূর্ণত রক্ষা করা যায় না। একথা বার বার বলা হইয়াছে এবং অদ্য তাহাই বলিতেছি । í মনের পূর্ণাবস্থা বলিলে অন্য কোন ভাব তাহাতে উপস্থিত থাকিবে না। যদ্যপি সমুদায় ভাব হইতে মন পরিষ্কৃত না হয়, তাহা হইলে ধ্যান করিবার সময় অন্যান্ত ভাব আসিয়া সৰ্ব্বদা বিভীষিকা সমুথিত করিয়া থাকে। বিশেষতঃ, যাহার মনে যে ভাব অধিক পরিমাণে সঞ্চিত থাকে, বা ধ্যানের পূৰ্ব্বে যে ভাব উপস্থিত থাকে, নয়ন মুদ্রিত করিবামাত্র সেই ভাব আসিয়া মানসক্ষেত্রে নৃত্য করিতে থাকে। মনের এমন অবস্থায় কখন ঈশ্বরের ধ্যান হইতে পারে না। অতএব ধ্যানী হইলে অন্যান্য ভাব বিবর্জিত হইয়া থাকা সৰ্ব্বতোভাবে বিধেয় । যেমন কর্দমমিশ্রিত জলে স্থৰ্য্য চন্দ্র দেখা যায় না, তেমনি অন্যান্য ভাবরূপ কর্দম, মনরুপ জল হইতে পৃথক ন হইলে ভগবানের প্রতিবিম্ব কখনই দেখা যায় না ; অপরিস্কৃত মন লইয়া কেবল চক্ষু বুজিয়া থাকা ধ্যানের মৰ্ম্ম নহে। ধ্যান করা বাহিরের কোন কাৰ্য্য নহে, উহা সম্পূর্ণ মনের কার্য্য । মনকে ভগবানের ভাবে একীকরণ করাকে ধ্যান কহে । আমরা সংসারে যে ভাবে এবং যে অবস্থায় অবস্থিতি করিয়া থাকি, তাহাতে মনের পূর্ণত রক্ষা হওয়া দূরে থাকুক, মন বলিয়া কোন বস্তু পাওয়া যায় না । মন বলিয়া যাহা জ্ঞাত হওয়া যায়, তাহা মনের ছায়৷ মাত্র। ছায়ার দ্বারা প্রকৃত পক্ষে কোন কাৰ্য্য হয় না। তরবারির ছায়া যদিও তরবারির ন্যায় দেখায় বটে, কিন্তু তদ্বারা কোন বস্তু কৰ্ত্তন করা যায় না। সংসার দ্বারা মন দুই ভাবে আকৃষ্ট হইয়া থাকে। প্রথম, বিষয়াদি দ্বারা সংস্কারগ্রস্ত এবং দ্বিতীয়, কামিনী দ্বারা হীনবল ও স্বতন্ত্র