পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭(t ] প্রকার সংস্কার প্রাপ্ত হওয়া । এই অবস্থায় মনের এমন স্থান থাকে না, ষথায় ভগবানের তাব স্থান পাইতে পারে । সংসারক্ষেত্রে দেখিতে পাওয়া যায় যে, সাংসারিক নরনারীরা যখন কোন ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম করিবার সঙ্কল্প করিয়া থাকেন, তাহ সাংসারিক ভাব বিমিশ্রিত হইয়া পড়ে। যথা, অপুত্রক স্থানে পুত্ৰ কামনা, অর্থাভাব স্থলে অর্থ কামনা, সম্মানাদির বিরহাবস্থায় মান সন্ত্রম আকাঙ্ক্ষা করা প্রভৃতি কামনাসংযুক্ত ভাবে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করা হয় । সংসারের ভাব সম্পূর্ণ দৈহিক এবং তাহা প্রাপ্ত ও রক্ষা করিবার নিমিত্তই মানসিক বৃত্তি সকল সৰ্ব্বদা নিয়োজিত থাকে । যেমন ধনেপার্জন করা শারীরিক সুখ স্বচ্ছন্দতার নিমিত্ত, অবস্থাসঙ্গত উত্তম বাসস্থান প্রস্তুত করা শারীরিক সুখ স্বচ্ছন্দতার নিমিত্ত, অবস্থাসঙ্গত উত্তম ভোজন করা শারীরিক সুখ স্বচ্ছন্দতার জন্য, কামিনী সহবাস করা শারীরিক সুখ স্বচ্ছন্দতার জন্য এবং পুত্রাদি পরিবেষ্টিত হইয়া থাক। শারীরিক সুখ স্বচ্ছন্দতার নিমিত্ত, এই অবস্থায় মানসিক আনন্দ আছে বটে, কিন্তু তাহা শরীরের সহিত সম্পূর্ণ ভাবে জড়িত। মন যদ্যপি দৈহিক সম্বন্ধে আবদ্ধ থাকে, তাহ হইলে সে মন স্বাধীন না হইলে কেমন করিয়া ধ্যান করিবার যোগ্যতা লাভ করিতে পারে ? এই নিমিত্ত কাহাকেও ধ্যানী হইতে হইলে বনই তাহার এক মাত্র স্থান, জানিতে হইবে । ধ্যান করিবার জন্য বনই নিদিষ্ট স্থান, সে পক্ষে কোন মতে মতাম্বর হইতে পারে না । মনকে পূর্ণ ভাবে পরিণত করিতে না পারিলে কখন ধ্যানের ফললাভ করা যায় না। মনের পূর্ণতা লাভ করিতে হইলে মনের ধারণা শক্তি প্রকাশিত হইবার সময় হইতে সাংসারিক ভাবের লেশমাত্র উহাতে সংস্পর্শিত হইতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য নহে ৷ এই নিমিত্ত &