পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I hరి তোমায় বনবাসী হইতে অনুমোদন করিয়াছি ? কেবল অনুমোদন নহে, তোমার সেই ভাবের সহায়তা করিবার নিমিত্ত সমভিব্যাহারে অাসিয়াছি । দেখ, তোমার যেমন কামিনীকাঞ্চন তবে অদ্যাপি মনে জাগরূক রহিয়াছে, এখনও আমার প্রতি স্ত্রী ভাব রহিয়াছে, আমি তোমার কাছে নাই এভাব তোমায় অভিভূত করিয়৷ গতিরোধ করাইয়াছে, পাছে আমি রত্নগুলি অঞ্চলে বাধিয়া লই, সেই জন্য আমার পতন ভয়ে তাহ ধূলারত করিয়াছ, আমারও মনে তেমনি পতিভাব রহিয়াছে, আমারও এখন রত্ন বলিয়। জ্ঞান রহিয়াছে। তবে আমরা বৃথা বনে আসিলাম কেন ? হায় ! হায় ! সাংসারিক প্রবল প্রতাপ প্রত্যক্ষ কর । আমরা জানি, রত্ন দেখিবামাত্র মনে তাহারই ভাব উদ্রেক হইয়া গিয়াছে। অামাদের সময় হয় নাই, আমরা সাধনার তাৎপর্য্য অদ্যাপি বুঝি নাই । এক্ষণে বুঝিলাম, যেমন স্বামী লইয়া সন্ন্যাসিনী হওয়া যায় না, হীরকাদি পদার্থ জ্ঞান পাকিলে মনের পূর্ণতা লাভ হয় না, তেমনি স্বামী ! তুমিও বুঝিয়। দেখ, কামিনী লইয়া সন্ন্যাসী হওয়া যায় না । আমি তখনি বলিয়াছিলাম যে, অামায় সমভিব্যাহারে লইও না, তাহাতে উভয়ের বিঘ্ন হইবে । এখন বুঝিলে ? যে আমার জন্য তোমার মনে কাঞ্চনভাব স্তান পাইয়াছে। কামিনী থাকিলে কাঞ্চন উপস্থিত হইয় থাকে। যদ্যপি তুমি একাকী হইতে, তাহা হইলে হীরক দেখিয়া কখন চিন্তিত হইতে না । আমিও যদ্যপি একাকিনী হইতাম, তাহা হইলে তুমি কি করিতেছিলে একথা বলিতে হইত না এবং এই হীরক দেখিয়া তোমার সহিত এত কথা কহিতাম না । যখন অদ্যাপি সেই গুহের ভাব আমাদিগকে সমভাবে অধিকার করিয়৷ রাখিয়াছে, যখন অদ্যাপি আমাদের মনে শারীরিক সম্বন্ধ সমভাবে রহিয়াছে, যখন অদ্যাপি হীরক মাটিতে পার্থক্যভাব রহিয়াছে, তখন