পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৭৯ ] সেই কুটার ভাঙ্গিয়া ইংরাজি ঢংয়ের সার্সি যুক্ত দ্বিতল অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ পূৰ্ব্বক কামিনীকাঞ্চনের অধিকারভুক্ত হইয়া মন হইতে ভগবানকে দূরীভূত করিলেন এবং তাহার স্তানে টাকা ও বারাঙ্গনাকে সমাদর করিয়া বসাইলেন । সাধুর এরূপ পতন কেবল স্থানের দোষে সংঘটিত হইল । যে সময়ে তাহার সিদ্ধাবস্থা হইয়াছিল, সে সময়ে যদ্যপি তিনি লোকালয় পরিত্যাগ করিয়া নিৰ্জ্জন স্তানে যাইয়া বাস করিতেন, তাহা হইলে তাহার পূৰ্ব্বের সাধনের ফল বিফল হইয়। যাইত না । সাধুর ক্রমে সন্তানাদি হইতে লাগিল। তাহার বাবা বলিয়, সৰ্ব্বদ নিকটে আসিত, কেহ কাধে উঠিয়া বসিত, কেহ ক্রোড়ে শয়ন করিত, কেহ জটা ধরিয়া টানিত, কেহ আসনের উপরে মলমুত্র ত্যাগ করিত। শিষ্যের গুরুর এইরূপ ভাব দর্শন করিয়া পাছে গুরুভক্তির ক্রটি হয়, তজ্জন্য একে একে পলায়ন করিল। যখন এই সমাচার মঠের অভিভাবকেরা শুনিলেন, তখন তাহারা তাহাকে তথা হইতে বাহির করিয়া দিলেন। সাধু অনন্তোপায় দেখিয়। পলায়ন করিবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু যাইবেন কোথায় ? সেই রমণী ছটিয়া আসিয়া জটা ধারণপূৰ্ব্বক বলিল, তবে রে সাধু ? যাইবি কোথায় ? আমার সৰ্ব্বনাশ করিয়াছিস, স্মরণ নাই ? এতগুলি নাবালক নাবালিকা, এদের খাওয়াবে কে ? মাতাকে জটা ধরিতে দেখিয়া ছেলেরা ছুটিয়া আসিয়া বহিৰ্ব্বাস ধরিয়া বলিতে লাগিল, বাবা আর ছাড়িয়া দিব না । কেহ বলিল যে, বাবা তুমি কোথায় যাবে বাবা ? এই গোলযোগে প্রতিবাসীরা আসিয়া একত্রিত হইলেন এবং তাহারা সাধুকে সহস্ৰ লাঞ্ছনা করিলেন। সাধু অগত্য সেই রমণীর গৃহে যাইয়া বাস করিতে বাধ্য হইলেন। পরদিবসে তিনি জটা ছেদন করিলেন এবং কৌপীন বহিৰ্ব্বাস পরিত্যাগ পূর্বক গৃহীর