পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ b-> ] সারিক বায়ু তাহার গাত্রে সংস্পর্শিত হয় না, এরূপ স্থানে অবশু বাস করিতে হইবে । ধ্যানীর উদ্দেশু সাংসারিক ভাব হইতে মনকে স্বতন্ত্র করা অর্থাৎ সংসার ত্যাগ করা,সে স্থলে যাহা ত্যাগের বিষয়, তাহা লইয়। কখন সাধনা হইতে পারে না । অতএব স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পিতা, মাতা, বিষয় কৰ্ম্ম, লোক লৌকিকতা প্রভৃতি সমুদয় বজায় রাখিয়া কখন ধ্যান করা যায় না। এ প্রকার অবস্থায় যদ্যপি কেহ ধ্যানপরায়ণ হন, তাহা তাহার পক্ষে বিড়ম্বনাবিশেষ হইয়া থাকে। পরিজন পরিবেষ্টিত হইয়া ধ্যান হয় না, প্রাণায়াম করিতে যাইলে কাশাদি রোগ আসিয়া উপস্থিত হয় । আমি ইতিপূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, রামকৃষ্ণদেব বলিয়া গিয়াছেন যে, রেত ধারণ করা ধ্যানের প্রধান উদ্দেশ্য। যে ব্যক্তি বালাকাল হইতে রেত ধারণ করিতে পারেন, তাহার কথাই নাই, যিনি তাহাতে অশক্ত হন, তাহাৱ পক্ষে ব্যবস্থা আছে যে, তিনি যদ্যপি দ্বাদশ বর্ষকাল ধৈর্য্য-ধারণ করিতে পারেন, তাহা হইলে তঁাহাকে ধৈর্য্যরেতা কহা যায় এবং দ্বাদশ বর্ষাস্তে উদ্ধরেতা নামে তিনি অভিহিত হইয়া থাকেন । উৰ্দ্ধরেতা হইলে তাহার মেধ নামে একটী নাড়ীর উৎপত্তি হয় । মেধা বৰ্দ্ধিত হইলে তবে সেই ব্যক্তির ধারণ শক্তি সঞ্চারিত হইয়া থাকে। ধারণা হইলে মনের পূর্ণ লল হয়, সেই মনের দ্বারা ব্যান কাৰ্য্য সমাধা হইয়া থাকে। রামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, ধ্যান করিতে হইলে কামিনীকাঞ্চন ভাব হইতে এককালে অবসর গ্রহণ করা কর্তব্য। যে নরনারী তাহা না পারে, তাহার ধ্যান করা অনুচিত । কথিত হইল যে, অধোরেতা কখন ধ্যানের অধিকারী নহেন। যাহার কামিনীসঙ্গলালসা বিদূরিত হয় নাই, কামিনী কামিনী কামিনী করিয়া যাহার মন সৰ্ব্বদা লালায়িত, সে ব্যক্তির ব্যান করিতে প্রয়াস جها