পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ।
৩৭৯

বল? এই কথা কেন বল না আমার মত অধমকে যে তিনি এত কৃপা করিলেন যে কয়েকট এখনও স্থাখিলেন এই ঢের। এগুলিকে নিলেই বা আমরা কি করিতে পার? যা রছিল তাহার জন্যই তাকে ধন্যবাদ। আমি অন্ধমনিকৃষ্ট মানুষ, জগতের মুখের উপরে আমার কি অধিকার আছে?”

 এই স্বৰ্গীয় বিনর তাহার প্রকৃতির একটা স্বাভাবিক গুণ ছিল। ভাগলপুরের প্রথমোক্ত বন্ধুটা লিপিয়াছেন—“রামতন্ত্র বাবু যখন উত্তরপাড়া স্কুলের হেড মাষ্টার তখন, অর্থাৎ ১৮৫৪ সালে, আমাকে সেখানে ভৰ্ত্তি করিষার প্রস্তাব ছ। আমার পিতা লাহিড়ী মহাশয়ের যৌবন-স্বহং কে এমৃ. বানাজিমহাশয়ের পত্র লইয়া লাহিড়ী মহাশয়ের নিকট যান। বাবা ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, যে কে, এম্‌, বানাজির পত্র লইয়। লাহিড়ী মহাশয় প্রথমে মস্তকের উপরে রাখিয়া বললেন, “আমার গুরুর পত্ৰ”। তিনি একজন সহাধ্যায়ীকে এত ভক্তি করিতে পারেন, তাহার বিনয়ের কথা কি বলিব।”

 যাহা হউক, বিনয়কুমারের শোক ক্রমে পুরাতন হইল। শরৎকুমারের বৈষ য়িক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পিতামাতার শুশ্রষার বন্দোবস্ত ভাল হইল।, চি গুরি ভারটা লঘু হওয়াতে সকলেরই মন অপেক্ষাকৃত প্রশান্তু হটতে লাগিল। ১৮৮৭ সালের প্রারম্ভে শরৎকুমারের বিবাহ হইল। জননী নব পুত্রবধুর মুখ দর্শন করিয়া সন্তান শোক কিয়ংপরিমাণে ভুলিতে লাগিলেন। যথা সময়ে, ১৮৮৯ সালে নব, বধু এক কন্যার মুখ, দর্শন করিলেন। কিন্তু হায়! জননী সে মুখ অধিকদিন সম্ভোগ করিতে, পারবেন না। তাহার দশ বার দিন পরেই বিষম জবুরোগে আক্রাস্ত হইয় তিনি ভবধাম পরিত্যাগ করিলেন।

 জীবনের এতদিনের মুখ, দুঃখের সঙ্গিনী, যখন চলয় গেলেন, তখন বুদ্ধ লাহিড়ী মহাশয় স্বয়ং প্রস্থানের জন্ত প্রস্তুত হইতে 'লাগিলেন। কিন্তু বিধাতা তাহার জন্ত আরও দুঃখ সঞ্চিত রাখিয়াছিলেন।

 যাইবার পূর্কে তাহাকে প্রিয় বন্ধু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিরোগ দুঃখ সন্থ করিতে হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৮৫৮ সালে তদানীগুন শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টার গর্ডন ইয়ংএর সহিত বিবাদ করিয়া সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষের পদ পরিত্যাগ করেন। উক্ত পদ ত্ব্যাগ করার পর গ্রন্থ রচনা ও গ্রন্থ প্রকাশে মনে, নিবেশ করেন। ক্রমে মে তার গুনেকগুলি বাঙ্গাল ওসংস্কৃত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এই সকল গ্রন্থের অল্প হইতে মাসে মাসে তিনি অনেক টাকা পাইডেন। যেমন আয় তেমনি ব্যয়-স্কুই হন্তে দান। 'নিজের জন্য তাঁহার যৎসামা দ্য