চেষ্টা করিতেন। তিনি চিরজীবন ছাত্র ছিলেন। লোকে ধন মান লাভের জষ্ঠ যে প্রকার অধ্যবসায় ও আগ্রহ, প্রকাশ করে, তিনি জীবনের উৎকর্ষ সাধন জন্ত তুতোধিক করতেন। নিরন্তর এই উদ্বেপ্তের প্রতি তাহার লক্ষ্য ছিল; এবং শেষ জীবন পর্যন্ত তাহার এই আশার নিবৃত্তি হয় নাই।
১৩। হিন্দু কলেজের সৰ্ব্বোচ্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়। ঐ কলেজে প্রথমে তিনি শিক্ষকস্ত কাৰ্য্য গ্রহণ করেন। তাহার সমপাঠীরা বড় বড় কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলেন। তিনিও ইচ্ছা করিলে তাহদের মত কার্য পাইতেন। কিন্তু স্বদেশে উত্তম শিক্ষকের কি গুরুতর অভাব তাহ বিশেষরূপে হৃদরঙ্গম হওয়াতে, তাহা মোচন করিবার জন্ত ধন মানের অভিলাষ পরিত্যাগ করির অধ্যাপন কাৰ্য্য গ্রহণ পূৰ্ব্বক তাহাতে আত্ম-সমর্পণ করেন; এবং কায়মনোচিত্তে এই কার্য চিরজীবন সাধন করিয়াছিলেন।
১৪। অৰ্দ্ধ শতাব্দী গুৰ্ব্বে তিনি অষাপনার যে আদর্শ দেখাইয়া যান তাহার কিয়দংশ আজ কাল শিক্ষা বিভাগে প্রচলিত হইবার উপক্রম হইতেছে।
১৫ . রামতনু বাবু দীর্ঘাকার কিম্বা থৰ্ব্বাকার পুরুষ ছিলেন না, যৌবনকালে বেশ বলিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু অকালে র্তাহার শরীর শিথিল হইয়া পড়িয়াছিল। আমাদের शैज्र টিপিয়া afoa, baby bones 1 $fetz যৌবনকালের যে ছবি আছে তাহা দেখিয়া কেহ অনুভব করিতে পারে না, যে ইহা তাহার ছবি, কারণ ঐ ਬੇਚੈ। তাহার বদনমণ্ডল উপর নীচে লম্বা দেখায়। কিন্তু আষরা কখন তাহার শুরূপ চেহারা দেখি নাই। জামরা যত দিন দেখিয়ছি তাহার মুখমণ্ডল গোলাকার দেখিয়াছি। চেহার এত পৰুি বৰ্ত্তন অন্ত কোন ব্যক্তির পক্ষে ঘুটিয়াছে কি না বলিতে পারি না। কয়েক বৎসর হইল তাহার একখালি ছাপার ছবি প্রকাশিত হইয়াছে। তাহাতে র্তাহাকে যত স্থূলাকার দেখা বস্তুত তিনি তত স্থূলাকার ছিলেন না।
১৬। শরীর রক্ষার জন্ত তিনি সাতিশর যত্নবান ছিলেন। মধ্যে মধ্যে বলিতেন ঈশ্বর বাছা কৃপা করিয়ু দিয়াছেন তাহ অবহেলা করিয়া কেন হাঁরাইব। এই যত্নের গুণে তিনি দীর্ঘজীবী হইয়াছিলেন এবং কোন প্রকার পীড়ায় কখনও কষ্ট পান নাই। আহারাদি সম্বন্ধে বড় সতর্ক ছিলেন এবং খাদ্য সামগ্রীর দোষ গুণ বিবেচনায় বড় বিচক্ষণ ছিলেন। শেষ বয়স পর্য্যন্ত ইন্দ্রির সকল সৰল ছিল। তাহার দাত একটনই পড়ে.নাই। শ্রবণশক্তি এমন সুশিক্ষিত ছিল যেকোন শব্দের উচ্চারণে সামান্ত ব্যতিক্রম হইলে বোধ হইত