পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) 0) রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ বলিয়া পরিগণিত হইলেন। তৎপরে যে কয়েকমাস তিনি জীবিত ছিলেন, সে সময়ের মধ্যে ফিরিদীসমাজের উন্নতির জন্য যে কিছু অনুষ্ঠান হইত। তন্মধ্যে DD KKB u DB KBBLDDD S DBD D BDBLg DYY হইত না। এইরূপে খাটিতে খাটিতে ১৮২১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর শনিবার তিনি দুৱাবোগ্য ওলাউঠা রোগে আক্রান্ত হইলেন। ছয় দিন তিনি রোগশয্যায় শয়ান ছিলেন। তাহার পীড়ার সংবাদ পাইবামাত্র, মহেশ চন্দ্ৰ ঘোষ, কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রামগোপাল ঘোষ, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রভৃতি তাহার শিষ্যদল আসিয়া উপস্থিত হইল ; এবং দিন রাত্ৰি পডিয়া DDDB BB DBBB BBBD S DDD DDBD DBDDBD DDDBB BDB DBDBD DDD S ২৪শে ডিসেম্বর প্রাণবায়ু তাহার দেহকে পরিত্যাগ করিয়া গেল। ইহার পরে ইষ্ট ইণ্ডিয়ান কাগজ একজন অপদাৰ্থ ইংরাজের হন্তে গেল। সে ব্যক্তি ডিরোজিওর মাতা ও ভগিনীকে ধনে প্ৰাণে সারা করিল। কযেক বৎসরের মধ্যে র্তাহারা জন্মের মত সমাজসাগরবক্ষে চিরবিস্মৃতির তলে ডুবিয়া গেলেন। ডিরোজিও অন্তহিত হইলে কিছুদিন তাহার স্মৃতিচিহ্ন স্থাপনের প্রস্তাব চলিয়াছিল ; এবং তদার্থ একটি কমিটীও গঠিত হইয়াছিল ; কিন্তু কালাবৰ্ত্তে সকলি মিলাইযা গেল ! নব্যবঙ্গের একজন প্ৰধান শিক্ষক ও দীক্ষা-গুরুর চিহ্নমাত্রও রহিল না । ডিরোজিও হিন্দুকালেজ ছাডিয়া গেলেন বটে, কিন্তু যে তরঙ্গ তুলিয়া দিয়া গেলেন তাহা আর থামিল না । ১৮৩১ সালের ২৩ আগষ্ট তাহার শিষ্যগণ এক মহা বিভ্ৰাট বাধাইয়া বসিলেন। সে সময়ে কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবনে ডিরোজিওর শিষ্যদলের একটা আডড ছিল । উক্ত দিবস কৃষ্ণমোহনের অনুপস্থিতি কালে তাহার যুবক বন্ধুগণ সেখানে জুটলেন। তখন তঁহাদের সর্বপ্ৰধান সৎসাহসের কৰ্ম্ম ছিল মুসলমানের রুটী ও বাজার হইতে সিদ্ধ করা মাংস আনিয়া খাওয়া । সেইরূপ আহাবের পর হাড়গুলি পাৰ্থস্থ এক গৃহস্থের ভবনে ফেলিয়া দিয়া যুবকদল চীৎকার করিতে লাগিলেন, “ঐ গোহাড়, ঐ গোহাড।” আর কোথায় যায়। সমুদয় পল্লীস্থ হিন্দুগণ মার মারি শব্দে বাহির হইয়া পড়িলেন। যুবকদল যিনি যেদিকে পারিলেন পলায়ন করিলেন । তৎপরে প্রতিবেশিগণ দলবদ্ধ হইয়া কৃষ্ণমোহনের মাতামহ রামজয় বিদ্যাভূষণ মহাশয়কে ধরিয়া বসিল-“আপনার দৌহিত্রকে বর্জন করিতে হইবে নতুবা আপনাকে লইয়া চলিব না।” ব্ৰাহ্মণ স্বীয় দৌহিত্রের প্ৰতি কোপে অধীর হইয়া গেলেন । বেচারা কৃষ্ণমোহন। এ সকলের কিছুই জানেন না। তিনি সায়ংকালে গৃহে সমাগত হইলে, সে ভবনে আর আশ্ৰয় পাইলেন না । সে রাত্রে যান কোথাষ, উপায়ান্তর না পাইয়া স্বীয় বন্ধু দক্ষিণারঞ্জনের ভবনে গিয়া আশ্রয় লইলেন। তখন কৃষ্ণমোহন ও রসিককৃষ্ণ মল্পিক হেয়ারের স্কুলে শিক্ষকতা করিতেন। কৃষ্ণমোহন এই