পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ দাসত্ব প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করিবার জন্য আমেরিকা গমন করেন । ১৮৩৬ সালে ইংলণ্ডে প্ৰত্যাগত হইয়া ভারতহিতৈষী কতিপয় সাধুপুরুষের সহিত সম্মিলিত হন। তৎপরে ১৮৪২ সালে দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাশয় ইংলণ্ডে গমন করিলে তঁাহার সহিত সম্মিলিত হইয়া এদেশে আগমন করেন। জর্জ টমসন এদেশের আভ্যন্তরীণ অবস্থা পরিজ্ঞাত হইবার জন্য ও রাজনীতির চর্চা বিষয়ে এদেশীয়দিগকে উৎসাহিত করিবার মানসে এদেশে আসিয়াছিলেন । র্তাহার ন্যায় বক্তা সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় না। র্তাহার বক্তৃত যাহারা শুনিয়াছিলেন তাহারা বলেন যে, তাহার এক এক বক্তৃতাতে তৎকালীন সমাজ অগ্নিময় হইয়া যাইত। তাহার উৎসাহে ও সাহায্যে কলিকাতায় ফৌজদারী বালাখানা নামক স্থানে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটী নামে একটি সভা প্রতিষ্ঠিত হয। ইহাকে বর্তমান ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিযেশনেব পূর্বপুরুষ মনে করা যাইতে পাবে। জর্জ টমসন এদেশে পদাৰ্পণ করিবামাত্র ডিবেজিওর শিষ্যদল তাহার চারিদিকে আবেষ্টন করিলেন । রামগোপাল তঁহাদের অগ্রগণ্যরূপে প্ৰতিষ্ঠিত হইলেন। ফৌজদাবী বলাখানা হইতে জর্জ টমসনের ও রামগোপাল ঘোষের রব বজনির্ঘোষে উখিত হইতে লাগিল । এই ঘটনাব উল্লেখ কবিয তদানীন্তন শ্ৰীরামপুরস্থ পত্রিকা ফ্ৰেণ্ড অব ইণ্ডিয়া ( Friend of India ) q3Fq fr ffRÇ7—“ARR F f (KF KERKs হইতেছে, পশ্চিমে বালা হিসাবে ও কলিকাতায় ফৌজদারী বালাখানাতে।” এই সময় হইতে বামগোপাল বাজনীতি সম্বন্ধীয় সমুদয় প্রশ্নের সহিত সংস্থষ্ট হই যা পন্ডিলেন। রাজনীতি বিষয়ে প্রখর দৃষ্টি রাখিতেন এবং সময়ে সময়ে বঙ্গমঞ্চে অ্যাবোহণ কবিয়া অগ্নিময ভাসা উদগীৰণ কবিতেন । গবৰ্ণর জেনেরাল লর্ড হাডিঞ্জের স্মৃতি স্থাপনের জন্য কলিকাতার টাউনহলে ১৮৪৭ DBBBB DDEBD DBBBB DBBDBD DBBD DDD SS SYDBLDB DSS LLLLLSSDDBS ( Hume ) কলভিল Colville ) প্ৰভৃতি কতিপয় সুবাগী প্ৰসিদ্ধ ইংরাজ বাবিষ্টাব প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত মুক্তি প্ৰভৃতি স্মৃতিচিহ্ন স্থাপনেব বিরোধী গুইয়া দণ্ডাযমান হন। হার্ডিঞ্জ বাহাদুর এদেশে শিক্ষা বিস্তাবের বিশেষ সহাযত কবিয়াছিলেন MgYz TBK YDD LTD BDBSD DYBT BBDD SSDBBBDD DDYBD ও বামগোপাল ঐ সভাতে উপস্থিত ছিলেন । তাহাবা যখন দেখিলেন। যে, উক্ত ইsরাজগণের প্রতিকূলতাবশতঃ প্ৰস্তাবটি নষ্ট হইবার উপক্রম হইয়াছে, তখন তাহারা এক সংশোধিত প্ৰস্তাব উপস্থিত কবিলেন। প্ৰথমে ইংরাজগণ হাসিয়া উডাইয়া দিবার চেষ্টা করিলেন । কিন্তু যখন রামগোপালের প্রজ্বলিত অগ্নিসম তেজময় ও ওজস্বিনী ভাষা জাগিয়া উঠিল, তখন সকলকেই মৌনাবলম্বন করিয়া শুনিতে হইল। দেখিতে দেখিতে রামগোপালের অদ্ভুত বক্তৃতা-শক্তি সমগ্ৰ সভাকে অভিভূত করিল , এবং অবশেষে অধিকাংশের মতে তঁহারই প্ৰস্তাব গৃহীত হইল। তাহার ফলস্বরূপ হার্ডিঞ্জ বাহাদুরের অশ্বারোহী মুক্তি