পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পবিচ্ছেদ Yah অবস্থা যে, সেই উৎকৃষ্ট আইনগুলির সপক্ষে বলিবাব জন্য কেহই ছিল না । তখন কেবলমাত্র রামগোপাল ঘোষ লেখনী ধারণ করিলেন ; এবং “A Few Remarks on certain Draft Acts, commonly called Black Acts' নামে একখানি পুস্তিকা প্ৰকাশ করিলেন। ইহাতে কলিকাতাবাসী ইংরাজগণ র্তাহার প্রতি এমনি চটিয়া গেলেন যে, তাহারা সমবেত হইয়া všfkt(* Agri-Horticultural Society3 7|Kostih 7. storfs,3 °v RCVS অধ:কৃত করিলেন। এই সভা ১৮২১ সালে শ্ৰীরামপুরের সুবিখ্যাত উইলিয়াম কেরীর উদ্যোগে স্থাপিত হয়। শুনিতে পাওয়া যায়, তাহাকে উক্ত পদ হইতে অবিচার পুর্বক সবাইয়া দেওয়াতে বিরক্ত হইয়া মিষ্টব্য সিসিল বীডন উক্ত সভার সভ্যপদ পবিত্যাগ কবেন । ইনিই পাবে ? সার সিসিল বীডনরূপে বঙ্গদেশের লেপ্টেনেণ্ট গবর্ণরের পদে প্ৰতিষ্ঠিত হইষাছিলেন। কেবল রাজনীতি বিষযে নহে, দেশের সর্ববিধ সদনুষ্ঠানে রামগোপাল উৎসাহদাতা ছিলেন। মহামতি হেয়াবের যে সুন্দব শ্বেত-প্ৰস্তরময় মুক্তিটি এক্ষণে প্রেসিডেন্সি কলেজেব সম্মুখস্থ প্ৰাঙ্গণে দণ্ডাযমান আছে তাহা প্ৰধানতঃ তাহারই চেষ্টাতে নিৰ্ম্মিত হইযাছিল। ১৮৪১ সালে, ১৭ই জুন BBDDDB0K DDS DDDDBB BDD S BBBDBDD S DDBBO gBDBD BD অধিবেশন হয়, তাহাতে মহাত্মা হেয়াবের একটি প্ৰস্তরময়ী মুক্তি নিৰ্ম্মাণের প্ৰস্তাব উপস্থিত হয়। সেই সভাতেই অনেকে এই প্ৰস্তাবের বিরোধী ছিলেন। কিন্তু রামগোপাল উদ্যোগী হইযা নিজের এক মাসের আয় দিয়া হেয়ারের শিষ্যবৰ্গকে এক এক মাসের আয। এই জন্য ব্যয় করিতে অনুরোধ করিয়া এক প্রার্থনাপত্ৰ প্ৰকাশ কবেন। শুনিতে পাওয়া যায়, তাহার দৃষ্টান্তও আগ্রহে হেয়ারের শিষ্যগণের অনেকেই এক এক মাসের আয় দিয়াছিলেন। এইরূপে সংগৃহীত অর্থের দ্বারা হেযারের প্রস্তর-স্মৃত্তি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ঐ মুক্তি প্ৰথমে সংস্কৃত কলেজের প্রাঙ্গণে স্থাপিত হয়। তৎপবে প্রেসিডেন্সি কালেজগৃহ নিৰ্ম্মিত হইলে তাহার প্রাঙ্গণে স্থাপিত হইয়াছে। বৃদ্ধাবস্থাতে রামগোপাল বিষয়কৰ্ম্ম হইতে অবস্থিত হইযা একান্তে বাস করিতেন। তখন আত্মীয স্বজনকে ও স্বীয় বন্ধুবান্ধবকে বিবিধ প্রকারে সহায়তা করা তাহার প্রধান কাৰ্য্য ছিল। তখনও স্বদেশেব সর্ববিধ উন্নতির বিষয়ে তাহার সম্পূর্ণ মনোযোগ ছিল। যৌবনকালে তিনি যে স্বাধীনচিত্ততার ও সৎসাহসের পরিচয় দিয়াছিলেন, উত্তবকালে কিয়ৎপরিমাণে তাহার বিপৰ্য্যয় ঘটিলেও তাহা তাহাকে একেবারে পরিত্যাগ করে নাই । ১৮৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি মানবলীলা সম্বরণ করেন। মৃত্যুর কিছুদিন পুর্বে তিনি একটি মহৎকাৰ্য্য করিয়াছিলেন। তাহার বন্ধুগণের নিকটে ঋণ স্বরূপ তাহার প্রায় ৪০,০০০ হাজার টাকা পাওনা ছিল ; তিনি সেই